বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
অর্থনীতিজেলাজুড়েসদর

রোজার ১ম সপ্তাহেই বেড়ে গেল ছোলা-মুড়ির দাম

লাইভ নারায়াণগঞ্জ: ইফতারে যত কিছুই খাওয়া হোক না কেন, ছোলা-মুড়ি না খেলে যেন খাওয়াটাই অসম্পন্ন রয়ে যায়। রমজানে বাঙালিদের অবস্থা ঠিক এরকমই। তাইতো সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও ইফতারে ছোলা-মুড়ির চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি।

কিন্তু এ মাহে রমজানে চাহিদার শীর্ষে থাকা ছোলা-মুড়িসহ ইফতারের নানা খাদ্য-পণ্যের দাম যেন সীমাহীন ভাবে বাড়ছেই। ব্যবসায়ীরা বলছে, ‘আমদানীকারকদের থেকে বেশি মূল্য কিনতে হচ্ছে, তাই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।’ বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে নগরীর দ্বিগুবাবুর বাজারে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে এ কথা জানা যায়।

সরেজমিনে জানা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় রমজানের প্রথম সপ্তাহে ইফতারের চাহিদা সম্পন্ন খাদ্য-দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ২০-৪০ টাকা। বর্তমানে বাজারে মুড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা, ছোলা ১০৫-১১৫ টাকা, বুট ১০৫-১১০ টাকা। গত সপ্তাহে বাজারে মুড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা, ছোলা ৮৫—৯০ টাকা, বুট ৯০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রমজানে চাহিদা সম্পন্ন খাদ্য-দ্রব্যাদির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কপালে হাত পড়েছে অনেক ক্রেতাদের। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

নবীগঞ্জ থেকে বাজারে এসেছেন আলী মাহাদি। তিনি বলেন, মুসলিম প্রধান দেশ গুলোতে রোজা আসলেই নিত্যপন্যের দাম কমিয়ে দেয়। আমাদের দেশে তার উলটো চিত্র দেখা দেয়। সকল পন্যের দামই ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দেয়। এখন, বাজারে এসে জানলাম মুড়ির দামও বেড়ে গেছে। দাম বৃদ্ধি পেলেও কিছু করার নেই, ইফতার মুড়ি ছাড়া অসম্পন্ন।

দ্বিগুবাবুর বাজারের ব্যবসায়ী সাহেল হোসেন বলেন, আমাদের অতিরিক্ত দামে পন্য কিনতে হচ্ছে। যে কারনে দাম বেশি। এছাড়া মিল থেকেই এপন্য গুলোর দাম বেশি ধরা হচ্ছে, আমাদের কিছু করার নেই।

এব্যাপারে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের নারায়াণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান জানান, রোজা শুরু আগে থেকেই বাজার কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। আজকে এক জায়গায় অনিয়ম করার জন্য খেসারির ডাল ব্যবসায়ীকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা এ বিষয়টিও অবশ্যই দেখব।

তিনি আরোও জানান, কেউ দাম বেশি নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রমজান মাসজুড়ে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলবে।

RSS
Follow by Email