বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
Led02জেলাজুড়েরাজনীতি

না.গঞ্জে পনের মামলায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতাসহ ২৮৮ গ্রেপ্তার

# এক তরফা নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া যাবে না: এড সাখাওয়াত
# গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলুন, রাজপথে থাকুন: এড. টিপু

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রাজনীতি বর্তমানে সংঘাতে ঢুকে পড়েছে। নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার, রিমান্ডের মুখে অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। সরকারও কঠোর থেকে আরও কঠোর হচ্ছে। দুই পক্ষ এখন সংলাপ ও সমঝোতার বা কোনো ছাড় দেওয়ার মানসিকতায় নেই। জাতীয় নির্বাচনও ঘনিয়ে আসছে। নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে বিরোধ থেকে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছিল। এই উত্তেজনার পর গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঘটেছে সহিংসতা, প্রাণহানি। এমন পরিস্থিতির জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে বিএনপি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

এদিকে বিএনপি মহাসমাবেশের পর নারায়ণগঞ্জে গত ২৮ অক্টোবর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক সহিংস ঘটনায় ১৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া এসব মামলায় ২৮৮ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।

দায়েরকৃত ১৫টি মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মনির, মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, আজহারুল ইসলাম মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান আঙ্গুরসহ বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

এদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল আহমেদ, আড়াইহাজার পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরমান মোল্লা, আড়াইহাজার থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মো. মাসুম শিকারী, আড়াইহাজার থানা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক মো. শফিউদ্দিন ভুইয়া, আড়াইহাজার থানা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিউদ্দিন ভুইয়া, আড়াইহাজার থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম, আড়াইহাজার থানা বিএনপি সহ সভাপতি মো. শাকিল মিয়া। তাদেরকে আড়াইহাজার উপজেলায় তিন পুলিশকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাজধানীর গুলশানের পাঁচ তারকা একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এই সরকার একপি ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার সরকার। তারা তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে, পুলিশ প্রশাসনকে রক্ষি বাহিনীর ভুমিকায় অবতীর্ণ করেছেন। তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে, ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে, গ্রেপ্তার করছে। মিথ্যা গায়েবি মামলা দিয়ে তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আওয়ামী লীগ আবারও ২০১৪ ও ২০২৮ নির্বাচনের মতো পায়তারা করছে। বিএনপি নেতারা জনগণকে সাথে নিয়ে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। তারা এখন যা করছে আগামীতে তাদের এগুলার মূল্য দিতে হবে। এই দেশে আর এক তরফা নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া যাবে না। তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু মুঠো ফোনে লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আমি নেতাকর্মীদের বলবো আপনারা আতঙ্কিত হইয়েন না। আপনারা গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলুন, রাজপথে থাকুন। এসব হামলা মামলায় ভয় পাবেন না, ভাষা আন্দোলন থেকে ফ্যাসিবাদ রুখতে রাজপথে আন্দোলন হয়েছে, আমরা রাজপথে আন্দোলন করে এই ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন ঘটাবো। আমরা এসব মিথ্যা মামলার কাছে মাথা নত করবো না। জননেতা তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তাঁর নির্দেশ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হলে মানুষকে ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, অর্থনৈতিক অবস্থাকে গতিশীল করা। এর জন্য আওয়ামী লীগের পতন ঘটাতে হবে। তত্বাবধায়ক সরকার হোক, তদারকি সরকার হোক বা নির্বাচনের সরকার হোক। তাদের নির্বাচন মুখি হতে হবে।

RSS
Follow by Email