বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
জেলাজুড়েরাজনীতিসিদ্ধিরগঞ্জ

কর্মীরা অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছে এটা সরকারের নির্যতনের ফসল: মামুন মাহমুদ

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বিএনপির জাতিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, আমাদের প্রতিনিয়ত ঔষুধ প্রয়োজন হয়, প্রতিনিয়ত ডাক্তার দেখাতে হয়, আমাদের চেকাপের প্রায়োজন হয়, আমরা এই ৩ মাস ডাক্তারের কাছে যেতে পারি নাই, পালিয়ে থাকতে হয়েছে। বাড়িতে থাকতে পারি নাই, খেতে পারি নাই, ঘুমাতে পারি নাই দুশ্চিন্তায়। এইসব করনে আমরা যে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি এবং অসুস্থ হয়ে স্ট্রোক করে মারা যাচ্ছে, এগুলো সরকারের নিপিরন র্নিযাতনের ফসল। এটা আমি আমার নিজের জীবন দিয়ে স্বীকার করি।

রবিবার (১০মার্চ) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল দক্ষিন ভূইয়া পাড়া এলাকায় ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য শামীম মিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য একথা বলেন অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।

এসময় তিনি আওর বলেন, আজকে প্রায় ১৭ বছর যাবৎ আমরা মানুষের ভোট ও কথা বলার অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করছি। আর এই সংগ্রাম করতে গিয়ে আমাদের প্রতিটা নেতাকর্মী মামলা- হামলার শিকার হয়েছে। তারা জেল খেটেছে, বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে। এই ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের আগে ২৮ শেঅক্টোবর ঢাকাতে সমাবেশ হলো। সেই সমাবেশে পুলিশি হামলার ঘটনা থেকে শুরু করে ৩মাস আমাদের একজন নেতাকর্মীও বাড়িতে থাকতে পরে নাই। এই ৩মাস অনেক নেতাকর্মী কারাগারে বন্ধি ছিল। আমরা যে ডাক্তার দেখাতে পারছিনা, যার ডায়াবেটিস আছে ২মাস ৩মাস যদি কারাগারে বন্ধি থাকে তার ডায়াবেটিস আরো বেড়ে যায়, সে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যায়। তবুও এই নির্যাতন নিপিরনের মধ্যে থেকেও আমাদের একজন নেতাকমীর্ও রাজপথ ছেড়ে যায় নাই, একজন নেতাকর্মীও দেলের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে নাই। এরাই দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে যারা বুকের রক্তদিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছে তারা যেমন মুক্তিযোদ্ধা, আজকে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যারা লড়াই সংগ্রাম করছে ১৭ বছর যাবৎ তারও কিন্তু দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা।

মামুন মাহমুদ বলেন, আজকে যে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন,এই যে শামীম তিনি কিন্তু শহীদ হয়েছেন। তাকে আমরা শহীদ বলতে পারি কারন তিনি চিকিৎসা পান নাই ৩ মাস, তিনি বাড়িতে থাকতে পারে নাই, তিনি খেতে পারে নাই, তিনি ঘুমাতে পারে নাই এই কারনেই তিনি স্ট্রোক করেছেন।আমি শামীমসহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যেসকল নেতাকমীর্ মৃত্যুবরন করেছেন আমি সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।

এসময় ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলী আহম্মেদ লালার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন লেকুর পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি উকিল উদ্দিন ভূইয়া, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল প্রধান, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি টি,এইচ,তোফা, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, আবুল হোসেন, গোলজার হোসেন, জসিম উদ্দিন, কামাল ভূইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানা, আক্তার হোসেন, সুমন ভূইয়া, সালাউদ্দিন, রাজু, মনির হোসেন, মঞ্জু ও হাবিব প্রমূখ।

RSS
Follow by Email