২৮ অক্টোবরের আশঙ্কায় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, বিদেশীদের অর্ডার স্থগিত
#আন্দোলন করে ভেনিফিট হবে না,মানুষের ক্ষতি হবে: সেলিম ওসমান
#দুটি দলের প্রতি প্রত্যাশা থাকবে,যাতে নৈরাজ্য না হয়: এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দুদিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে দেশের সব থেকে বড় রাজনৈতিক দুই দলের পৃথক সমাবেশ। তবে এই সমাবেশকে ঘিরে আশঙ্কায় আছেন ব্যবসায়ী গোষ্ঠী। নির্বাচন কেন্দ্রীক সংঘাতের আশঙ্কায় আপাতত বিদেশী ক্রেতারা অর্ডার স্থগিত রাখছে বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা। অর্থনীতির অগ্রগতি অব্যহত রাখতে, সংঘাত এড়িয়ে সংলাপের উপায় খুঁজতে পরামর্শ দিচ্ছেন নারায়ণগঞ্জসহ দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, গত ১৫ বছরের অর্থনীতির অগ্রগতি বিশ্লেষণ করে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগ কারীরা বলছেন, এই সময় কালে হরতাল অবরোধ না থাকায়. অব্যাহত ভাবে এগিয়ে যায় অর্থনীতির উন্নয়নের গতিধারা। কোভিড-১৯ এর মতো অতিমারির ধাক্কাও সামলে নিয়েছে অর্থনীতি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আগে সংঘাত, সহিংসতা ও অচালবস্তার শংকায় ব্যবসায়ী সমাজরা। অতিতের মতো আর কোন নেতিবাচক পরিস্থিতির পুনঃ আবৃত্তি চান না তাঁরা।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সভাপতি এমপি একেএম সেলিম ওসমান বলেন, ইতোমধ্যে বিদেশী বায়াররা চিন্তা করছেন নির্বাচনের আগে কোন অর্ডার দেয়া যাবে না। যার ফলে আমরা বিপাকে পরে গেছি। যদি কেউ এমন ধ্বংসাত্মক কাজ কেউ করেন, তাদের উচিৎ আগে দেশের স্বার্থটা বুঝে নেওয়া। বর্তমানের অবস্থাটা সেই রকম আন্দোলনের অবস্থা না। এই আন্দোলন করে কোন ভেনিফিট হবে বলে মনে হয় না। দেশের মানুষের ক্ষতি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন যে উন্নয়ন দেখেছি, রাস্তা ঘাট, ব্যবসা বাণিজ্যতে যে উন্নয়নটা চলছে। এটাতে যদি নতুনভাবে বাধাগ্রস্থ করা হয়, তাহলে আমরা বুঝতে পারবো সামনের দিন গুলো আমাদের জন্য খুব খারাপ অবস্থা আছে। আমাদের আরও অন্তত ৫টি বছর এক নাগারে চলতে থাকলে, তারপর দেখা যেতে পারে আমাদের দেশ সত্যি সত্যি একটা বৃহৎ আয়ের একটা দেশ হয়ে যাচ্ছে।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম জানান, ২৮ তারিখের যে কর্মসূচি আওয়ামী লীগ-বিএনপি ডেকেছে, তারা নিজেদের মধ্যে, নিজেদের কর্মীদের মধ্যে প্রোগ্রামটা শেষ করবে। কোন রকমের সহিংসতায় যাতে কেউ না যায়, এটাই আমাদের প্রত্যাশা থাকবে তাদের কাছে।
তিনি আরও জানান, দেশের বৃহত্তম দুটি দলের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা থাকবে,যাতে কোন রকমের নৈরাজ্য সৃষ্টি না হয়। আমাদের পোর্ট যাতে কোন ভাবেই বন্ধ না থাকে, রাস্তা যেনো বন্ধ না থাকে, নদী পোর্ট গুলাও যাতে বন্ধ না থাকে, রেলপথ যাতে বন্ধ না থাকে, সেদিকে সবার মনোযোগ দেয়া উচিৎ।