‘পা নাই তো কি হইসে, ভোট দিতে ভালো লাগে’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘পা নাই তাতে কি হইসে, আমার নির্বাচনে ভোট দিতে ভালো লাগে’ কিছুটা এমনি প্রতিক্রিয়া জানালেন ধামঘর ইউনিয়নের একজন ৮৫ বছরের শরীফ আলম। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দমাতে পারেনি তাকে। চলে এসেছেন উপজেলা নির্বাচনে পছন্দের প্রিয় প্রার্থীকে ভোট দিতে।
বুধবার বন্দরের ধামঘর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায় এমন চিত্র। দূর্ঘটনায় নিজের ২টি পা অচল হলেও অদম্য শক্তিতে কেন্দ্রে এসেছেন শরীফ আলম।
ভোট দিতে এসে তিনি বলেন, ‘আমার ১ ছেলে ২ মেয়ে এবং স্ত্রী ও ভোট দিতে আসবে কিছুক্ষণ পরে। বেলা বাড়লেই লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে হয়, তাই আগে দিয়েছি। আমার জীবনে আমি কোনো নির্বাচনে ভোট না দিয়ে থাকিনি। সংসদ নির্বাচনসহ সব নির্বাচনেই ভোট দিয়েছি। আমার ভোট দিতে অনেক ভালো লাগে।’
বৈরী আবহাওয়ার কারণে সকালে থেকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে ভোটের সংখ্যা। ভিড় এড়াতে ভোট দিতে সকালে বৃষ্টির পরেই চলে এসেছেন অনেকেই। বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ, চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। এ উপজেলায় বিরতিহীনভাবে ৫৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলবে।
ভোট কেন্দ্রগুলোতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কেন্দ্রের সামনে ও ভিতরে আনসার, পুলিশ-র্যাবসহ প্রশাসনের ব্যাপক সতর্কাবস্থায় আছে। এছাড়া বিজিবি টিম বন্দরের প্রতিটি কেন্দ্রে টহল দিচ্ছেন। সকাল থেকেই শৃঙ্খলা মেনে কেন্দ্রে আসছেন ভোটাররা। বিভিন্ন কেন্দ্রে শারীরিক প্রতিবন্ধী, নতুন ভোটার ও বৃদ্ধদের ভোট প্রদান পরিলক্ষিত হয়েছে।
এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ১০ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এ উপজেলায় ৫৪ কেন্দ্রে র ৩৫৭টি কক্ষে ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৪ জন ভোটার ভোট দিবেন।
উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব রকম ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি নির্বাচনী দায়িত্বে রয়েছে আনসার পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্য স্ট্রাইককিং ফোর্সের সদস্যরা। এছাড়া ম্যাজিট্রেটন দায়িত্ব পালন করছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে কোন প্রার্থী বা তার লোকজন বাধা সৃষ্টি করতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে জানান তিনি।