সেলিম ওসমানের বক্তব্যের জন্য অপেক্ষা করেছেন প্রধানমন্ত্রী: প্রবীর কুমার সাহা
লাইভ নারায়ণগঞ্জ : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একবার বন্দর এসেছিলেন ২০০৭ সালে। সেখানে বক্তব্য দেওয়ার জন্য যখন মাইক দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে, তখন তিনি বলেছেন আগে সেলিম বলুক, তারপর আমি বলবো। এই আন্তরিকতা আমি দেখেছি কাছে থেকে, আমার সামনে ঘটেছে ঘটনাটা। সেলিম ভাইয়ের প্রত্যেকটি দাবি মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা প্রবীর কুমার সাহা এমপি সেলিম ওসমান সম্পর্কে এই কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্সে ব্যাবসায়ীদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। উনি যেখানেই গেছেন, সেখানেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। বিকেএমইএ’র ভোটের সময় ব্যাবসায়ীরা সকাল সকাল লাইন ধরে ওনাকে ভোট দিয়েছেন। এরপর তিনি বিপুল ভোটে বিকেএমইএ সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি বিকেএমইএ’কে অন্য উচ্চটায় নিয়ে গেছেন। সেলিম ভাইয়ের সামনে ও পিছে অনেকেই তার প্রশংসা করেন। উনি বন্দরে ৯-১০টা স্কুল নিজের টাকায় বানিয়ে শিক্ষার চেহারাই চেঞ্জ করে দিয়েছেন। এখন নারায়ণগঞ্জ কলেজের ছাত্ররা গর্ববোধ করে বলে, তারা নারায়ণগঞ্জ কলেজের স্টুডেন্ট। এরা সেলিম ভাইয়ের জন্য সম্ভব হয়েছে। চাষাড়া বিকেএমইএ ভবনটা, ভিতরে ঢুকলে মনে হবে আপনি ইউরোপ-আমেরিকাতে আছেন। সেটা তিনি নিজের টাকা দিয়ে জায়গা ক্রয় করে, বোর্ড অফ ডিরেক্টরের সাথে কথা বলে এই চমৎকার বিল্ডিংটি আমাদের উপহার দিয়েছেন। আমি আপনাদের বলবো, ৭ তারিখ যতোই বাধা বিপত্তি আসুক, আপনারা লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিবেন।
মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শংকর কুমার দে। এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা প্রবীর কুমার সাহা, ইয়ার্ন মার্চেন্ড অ্যসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা, পূজা উৎযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপনসহ আরও অনেকে।
