শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
জেলাজুড়েসিদ্ধিরগঞ্জ

সিদ্ধিরগঞ্জে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার, আটক ২

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১১, সিপিসি-১ এর আভিযানিক দল। সেই সাথে অপহরণের সাথে জড়িত ২ জন আসামী আটক হয়েছে। আসামীরা হলেন মো. সাব্বির হোসেন (১৮) ও তার সহযোগী মোছা. ফিরোজা বেগম (৩২)। উদ্ধারকৃত কিশোরীর নাম ফারজানা আক্তার খুশি (১৪)।

সোমবার (২৭ নভেমবর) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকায় এ অভিযান চালায় র‌্যাব। সোমবার প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১, সিপিসি-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ঘটনা সূত্রে ও এজাহার পর্যালোচনায় জানা যায় যে, ভিকটিমের পিতার ভাষ্য মতে গ্রেফতারকৃত আসামী মো. সাব্বির হোসেন ভিকটিম ফারজানা আক্তার খুশিকে দীর্ঘদিন যাবত স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই সময় কুপ্রস্তাবসহ উত্যক্ত করে আসছিল। এ বিষয়ে ভিকটিমের পিতা গ্রেফতারকৃত আসামীর বাবা-মায়ের সঙ্গে সাক্ষাত করে তাদের ছেলেকে সংশোধনের জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু আসামীর বাবা-মা বিষয়টি আমলে না নিয়ে আরও উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৬ আগস্ট বিকাল আনুমানিক ৪ টার সময় ভিকটিম ফারজানা আক্তার খুশি (১৪) নিজ বাড়ি থেকে নুরনগর বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। যখন সে শ্যামনগর থানার নুরনগর কর্মকার পাড়া মন্দির এর কাছে পৌঁছালে, পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা গ্রেফতারকৃত আসামী ও তার সহযোগীরা মিলে একটি মাইক্রো বাসে করে ভিকটিমকে অপহরণ করে। অপহরণের পর প্রধান আসামী মো. সাব্বির হোসেন ও তার সহযোগী মোছা. ফিরোজা বেগম মিলে ভিকটিম ফারজানা আক্তার খুশিকে নিয়ে আত্মগোপণে চলে যায়।

অতঃপর ভিকটিমের পিতা মো. জিয়াউর রহমান এজাহারে বর্ণিত সাক্ষীদের মাধ্যমে অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর সহযোগীদের সাথে যোগাযোগ করে ও উক্ত বিষয়ে সামাজিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু সহযোগী আসামীরা এ বিষয়ে কোন কর্ণপাত না করে বরং অপহরণের ব্যাপারে অপহরণকারীকে উস্কানী দিয়ে সহয়াতা করে। ভিকটিমের পিতা কোন উপায়ান্তর না পেয়ে বাধ্য হয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানায় অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৪, ধারা-৭/৩০, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০। পরবর্তীতে উক্ত মামলার সূত্র মোতাবেক র‌্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জের একটি অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এজহারে বর্ণিত আসামীদ্বয় ১। মো. সাব্বির হোসেন(১৮), পিতা-মো. ফজলু গাজী, মাতা-সালেহা বেগম, সাং-তেরুলিয়া, থানা-কালিগঞ্জ, জেলা-সাতক্ষীরা, ২। মোছা. ফিরোজা বেগম (৩২), পিতা-মো. ফজলু গাজী, মাতা-সালেহা বেগম, সাং-তেরুলিয়া, থানা-কালিগঞ্জ, জেলা-সাতক্ষীরা’দ্বয়কে গ্রেফতার ও ভিকটিম ফারজানা আক্তার খুশি (১৪), পিতা-মো. জিয়াউর রহমান, মাতা-রোকসানা পারভীন, সাং-রামচন্দ্রপুর, থানা-শ্যামনগর, জেলা-সাতক্ষীরা’কে উদ্ধার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের এবং ভিকটিম ফারজানা আক্তার খুশি (১৪)’কে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।

RSS
Follow by Email