শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
Led02রাজনীতি

শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে দলকে সুসংগঠিত করুন: খোকন সাহা

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেছেন, কিছুদিন পর নির্বাচন, সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে যান। কে নেতা হবেন, কে নেতা হবেন না; এটা হিসাব করার সময় আমাদের আসে নাই। দল ক্ষমতায় আছে বলে টাকা পয়সা না পেলেও, সম্মান অনেক পেয়েছি। আসুন শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে দলকে আরও সুসংগঠিত করি। নেত্রী ৫টি আসনে যাদেরকেই মনোনয়ন দিবে, তাদেরকেই আমরা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবো।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (১২ আগস্ট) বিকেল ২নং রেল গেট এলাকায় অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দলিয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সামাজিক সংগঠন ‘ফিরে দেখা ১৯৭৫ নারায়ণগঞ্জ’ ওই দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। যাতে প্রধান অতিথি ছিলেন খোকন সাহা।

তিনি বলেন, অনেকে বলে জিয়া পর্দার আড়ালে থেকে বঙ্গবন্ধুর হত্যা করেছে। আমি বলবো, পর্দার আড়ালে নয় জিয়া-মোস্তাক চক্র ঐক্যবদ্ধ ভাবে জাতির জনককে হত্যা করেছে। জিয়া ও মোস্তাকের মরণত্তর বিচারের দাবি আমরা সরকারের কাছে করতে চাই। আমরা একটা তালিকা তৈরি করবো। কারা সেই দিন (১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট) পদ পদবিতে থাকার পরেও ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করে নাই।

খোকন সাহা বলেন, ১৯৭৫ এর পর নারায়ণগঞ্জে কার ভুমিকা কি ছিলো বলতে গেলে, আমরা যে ঐক্যের ডাক দিয়েছি সেটা নষ্ট হয়ে যাবে। তৎকালীন সুরেশ ঘোষকে শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন আমাদের নেতা শামসুজ্জোহা। ১৯৭৫ সালের ১৬ই আগস্ট গ্রেপ্তার হলো সে। ৪৮ মাস সে জেলখানায় ছিলো। নাম বলবো না, কিন্তু ওই সময় সুরেশকে একটি প্রত্যয়নপত্র দেয় নাই আমাদের দলেরই এক জনপ্রতিনিধি।

কান্না জড়িত কন্ঠে খোকন সাহা বলেন, সুরেশের কিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা হয়েছিলো। সেই সুরেশ দা’কে আমরা আর দলে ফেরাতে পারি নাই। এ হচ্ছে দলের ত্যাগি নেতাদের পরিনতি। অনেক কিছু বলতে চাই কিন্তু বলতে পারি না, কারণ নির্বাচন আসন্ন।

তিনি বলেন, তারা দেশটাতে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, তৃতীয় পক্ষকে ক্ষমতায় আনতে চান। মাঝে মাঝে ওরা চাষাঢ়ায় চলে আসে, নেত্রীর সম্পর্কে অশালীন বক্তব্য রাখে। আগামীতে যদি ওরা নেত্রীর সম্পর্কে, বা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সম্পর্কে অশালীন বক্তব্য রাখে, তাহলে সাথে সাথে অ্যাকশনে চলে যাবেন। প্রয়োজনে ওদের জিভ কেটে শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিবেন। বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে, নেত্রীর প্রশ্নে ও দলে প্রশ্নে আমরা কেউ আপোশ করি না; করবো না।

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কিন্তু পার পাবেন না। আপনারা যেই আশায় বসে আছেন সেই আশায় একদিন গুড়েবালি হবে। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখা যায়, বাস্তবে সেটা পুরণ হয় না। স্বপ্নে বিভোর না হয়ে নির্বাচনের প্রস্ততি গ্রহণ করেন। নাশকতা করলে, সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় আমরা কিন্তু ছাড় দিবো না। কে কি করলো না করলো জানি না, আমরা কিন্তু তাদের বিন্দু পরিমান ছাড় দিবো না। হরতাল-শান্তি মিছিলের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে রক্ষা পাবেন না।

খোকন সাহা আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি। বয়স কিন্তু আমাদের হয়ে গেছে, তার পরেও কিন্তু আমরা থেমে থাকি নাই। লোভ-লালসার রাজনীতি করি নাই, চাওয়া পাওয়ার রাজনীতি করি নাই। একটাই কাজ ছিলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করা, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করা।

আলোচনা সভায় সংগঠনটির আহবায়ক এস এম পারভেজ এর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনটির সদস্য সচিব ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এড হান্নান আহমেদ দুলালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. রবিউল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক জি এম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এড মাহমুদা মালা, দপ্তর সম্পাদক বিদ্যুৎ কুমার সাহা, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য শিখন সরকার শিপন, মহানগর তাতীলীগের আহবায়ক। চৌধুরী এইচ এম শাহেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাফায়েত আলম সানি।

আরও উপস্থিত ছিলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা তানজিম কবীর সজু, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান খোকন, আসাদুজ্জামান খোকন, ফারুক হোসেন জনি, সেলিম আহমেদ হেনা, আনিস আহাম্মেদ, নুরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, এনামুল হক ভুইয়া বাদল, মহসিন ভুইয়া, শ্রমিক নেতা সামাদ বেপারী, তাতীলীগ নেতা লিটন আহমেদ।

RSS
Follow by Email