রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
জেলাজুড়েরাজনীতিসদর

শামীম ওসমানই পারবে না.গঞ্জ থেকে মাদক-চাঁদাবাজি দূর করতে: সেলিম ওসমান

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, শামীম ওসমান কি পারে নাই নারায়ণগঞ্জ থেকে পতিতালয় দূর করতে। শামীম ওসমানই পারবে চাঁদাবাজি দূর করতে, সন্ত্রাস দূর করতে, নারায়ণগঞ্জ থেকে মাদাক দূর করতে। শামীম ওসমানকে আমরা শক্তি হিসেবে ব্যবহার করবো। প্লানিং করতে আমি, মেয়র আইভী ও জেলা প্রশাসক আছি। আমরা প্লানিং করে বলবো, শামীম ওসমান আপনার কর্মী চাই। কাজ করতে আপনারা সহযোগিতা করবেন। যখনই ডাকা হবে তখনই আপনারা যাবেন।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) নগরীর প্রেস ক্লাব ভবনে গোল টেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ও সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন প্রেস ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের সদস্য আফজাল হোসেন পন্টি ও জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সালাম।

সেলিম ওসমান বলেন, রোজার আগেই ইনশাল্লাহ রাস্তা-ঘাট হকারমুক্ত করবো। হ্যা, রোজা শেষে যাতে তা ফিরে না আসে সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। লোক আছে, আগ্রহী কর্ম আছে। আমরা যদি পরিকল্পনা করি, পুলিশের দায়িত্ব যদি পুলিশকে বুঝিয়ে দিতে পারি, সমাজের দায়িত্ব যদি শামীম ওসমানকে বুঝিয়ে দিতে পারি আমাদের নারায়ণগঞ্জ অত্যন্ত সুন্দর হবে। জনসভা লাগবে না, শামীম ওসমানের মুখের কথাই যথেষ্ঠ। ওপেন সিক্রেট মাদক চলবে না। মাদক চলবে না। এটা সম্ভব হবে। আমরা কাজ করবো কিন্তু অন্যকে জানাবো না। গোপনে কাজ করে মাদক নির্মূল করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের এসপি (ভারপ্রাপ্ত) মহোদয় মনক্ষুন্ন হয়েছেন। আমিও মনক্ষুন্ন হয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনকে প্রশাসনের মিই চলতে হবে। প্রশাসন বাইরে গিয়ে ‘এরা কোথায় যাবে, কোথায় শুবে’ এটা বলতে পারে না। একটা মানুষকে সুযোগ দিয়ে হাজার মানুষকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। আমাদের নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বজন প্রীতি একটু বেশি আছে। চোখের পর্দাটা যদি উল্টানো না যায়, কোন উন্নয়নের কাজ করা যাবে না। কঠোর থেকে কঠোর হতে হবে। ট্রাফিকের দায়িত্ব পুলিশের হাতে। তবে প্রশ্ন ফুটপাতের ব্যবস্থা কার দায়িত্ব। কারা ফুটপাত চালায়। এখন ফুটপাত না, পাশের রাস্তাটাকেও দখল করা হয়েছে। কারা এই দখলকারী। এরা নারায়ণগঞ্জের কোন বাসিন্দা না, আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবো। আমাদের একসাথে হতে হবে। তাইলে একটা ফুটপাত দখল থাকবে না। এতে করে মাদক থাকবে না, ইভটিজিং থাকবে না। এখানে কোন রাজনীতি থাকবে না। রাজনীতি একটাই, নারায়ণগঞ্জে চলা-ফেরা সহজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পাগলার রাস্তা আমরা ব্যবহার করতে পারি না। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের পুরোনো এই রাস্তাটি আমরা ব্যবহার করতে পারি না। এর বাম পাশে ও ডান পাশে কি দোকান আপনি না পাবেন। সেখানে আবার জায়গাটা ট্রাক স্ট্যান্ডের। ওখানে একটা বাস চলে বোরাক। ওইটার মালিকের নাম কি। কেন বোরাক বাসটি ওইখানে থাকবে।

গোল টেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, নারায়ণগঞ্জ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রুহুল আমিন সাগর, বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. শামসুল কবিরসহ জনপ্রতিনিধি ও সকল শ্রেণীপেশার মানুষ।

RSS
Follow by Email