রাত নাই, দিন নাই, অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সেলিম ভাই: ভিপি বাদল
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: “রাত নাই, দিন নাই, পরিশ্রম করেছেন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা সেলিম ভাই। সেলিম ভাই,আজকে মা বোনেরা আপনার জন্য ভালবাসা প্রকাশ করতে পারছেন না। আপনি ভালবাসায় সিক্ত, সেলিম ভাই। আপনি যখন অসুস্থ ছিলেন, তখন তারা দু‘হাত তুলে দোয়া করেছেন। আপনারা দু‘হাত তুলে দোয়া করলে ওসমান পরিবারে মন্ত্রিত্ব দিতে বাধ্য থাকবেন শেখ হাসিনা ।”
বন্দর সমরক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী জনসমাবেশে তার বক্তব্যে লাঙ্গল মার্কার জন্য ভোট ও দোয়া চেয়ে এগুলো বলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল ওরফে ভিপি বাদল।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহ’র ওলী বন্ধুদের পুণ্যভূমি নারায়ণগঞ্জের মাটিতে যারা বসবাস করছেন, আমাদের সেই প্রাণ প্রিয় বাবারা আমাদের সামনে উপস্থিত আছেন, আমার মা বোনেরা এখানে উপস্থিত আছেন। আজ মদনপুর থেকে যখন আসছিলাম, ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছিলাম কখন এই সমরক্ষেত্রে এসে উপস্থিত হতে পারবো। ডানদিকে, বামদিকে, উত্তরে, দক্কিণে সব মানুষ বলাবলি করছে, সেলিম ওসমানের বিশাল জনসভা আজ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। তাই আপনাদের অভিনন্দন জানাই। মাতৃতূল্য ভাবি নাসরিন আপা, একসময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী, আমার রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু ওসমান পরিবারের উত্তরাধিকার বোন নিগার আপা, উপস্থিত আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ভাই। বক্তব্য দীর্ঘায়িত না করে আমি শুধু আপনাদেরকে বলতে চাই, নাসিম ভাইয়ের অত্যন্ত আদরের ছোট ভাই সেলিম ভাই।
আপনারা জানেন, কমলাপুরে ট্রেনের মধ্যে একজন মা তার সন্তানকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন! পুড়ে ছারখার হয়ে কয়লা হয়েছেন, তবুও সন্তানকে ছাড়েন নাই। কারা পুড়িয়েছে? বিএনপি-জামায়াত শিবির। আপনাদের কাছে আহ্বান জানাই, তাদের প্রত্যাখ্যান করুন। তাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে, করবেন না? আর সেটা ৭ তারিখে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে প্রমাণ করে দিবেন। সেলিম ভাই, আজকে মা বোনেরা আপনার জন্য ভালবাসা প্রকাশ করতে পারছেন না। আপনি ভালবাসায় সিক্ত, সেলিম ভাই। আপনি যখন অসুস্থ ছিলেন, তখন তারা দু‘হাত তুলে দোয়া করেছেন। আপনারা দু‘হাত তুলে দোয়া করলে ওসমান পরিবারে মন্ত্রিত্ব দিতে বাধ্য থাকবেন শেখ হাসিনা । আপনাদের সবাইকে বিপ্লবী অভিনন্দন জানিয়ে শেষ করতে চাই। টুঙ্গিপাড়ার অজপাড়াগায়ে‘র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজুবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ‘৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সেলিম ভাইয়ের পা উপরে, মাথা নিচে দিয়ে ৪৫টা সিগারেটের ছ্যেকা দিয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা। তারপরেও আপনাদের দোয়ায় বেঁচে আছেন সেলিম ভাই। সেলিম ভাই বেঁচে থাকলে, ইন শা আল্লাহ, আজ এখানে দাঁড়িয়ে বলতে চাই, আপনার নির্দেশে আমরা মরতেও পারি, বাঁচতেও পারি। আপনারা ভোট দিবেন না ভাইয়েরা, দুই হাত তুলে বলেন তো? সবাইকে ধন্যবাদ। এরপর তিনি “জয় হোক বঙ্গবন্ধুর, জয় হোক ওসমান পরিবারের। সবার জয় হবে, জয় হবে শেখ হাসিনার। জন্য বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” বলে বক্তব্যের ইতি টানেন। এরপর তিনি সেলিম ওসমানকে অভিনন্দন জানান জনমানুষের ভালবাসায় সিক্ত হওয়ায়।
এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান ও তার সহধর্মিনী নাসরিন ওসমান ও ছোট বোন নিগার ওসমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল, বন্দর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, সাবেক নারী সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী, মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম আরমান আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওয়াজেদ আলী খোকন।
আরও উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা মালা, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহাম্মেদ, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ আহাম্মেদ, জেলা পরিষদের সদস্য মাসুম আহাম্মেদ, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হান্নান, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা সুলতান আহম্মেদ ভুইয়া প্রমুখ।