শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
ধর্ম

রবিবার বিজোড় রাত, শবে কদর হওয়ার সম্ভবনা

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম রাত-লাইলাতুল কদর। মুসলিমদের কাছে বরকতময় ও মহিমান্বিত রাত এটি। এ রাতে আল্লাহতাআলা কুরআনুল কারিম নাজিল করেছেন ও এ রাতের নামে আল্লাহতাআলা একটি সূরাই নাজিল করেছেন।

আল্লাহতাআলা বলেন, ‘লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতের ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।’ (সুরা কদর: ১-৫)

এ রাতে নামাজ-দোয়া, জিকির-আজকারসহ বিভিন্ন নেক আমলের সীমাহীন ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। প্রিয় নবী (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদতের মধ্যে রাত জাগবে, তার আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে’ (সহিহ বুখারি: ৩৫)

এ রাতে আল্লাহতাআলা দুনিয়ার আসমানে আগমন করেন ও বান্দাদের প্রার্থনাগুলো কবুল করেন। তবে এ রাতটি আল্লাহতাআলা গোপন রখেছেন। হাদিসে রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে খুঁজতে বলা হয়েছে। হযরত আয়েশা রা. বলেন মহানবি সা. বলেছেন, ‘তোমরা শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো।’ (বুখারি: ২০১৭)

এরই প্রেক্ষিতে, রবিবার (৩১ মার্চ) সূর্যাস্ত হলে ২১ রমজানের রাত শুরু হবে যা শেষ দশকের বিজোড় রাত। সেই হিসেবে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, ২৭ রমজানের রাতটি শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হলেও শেষ দশকের প্রত্যেক বিজোড় রাতেই শবে কদরের সম্ভাবনা রয়েছে।

মুহাদ্দিসগণ বলেন, লাইলাতুল কদরের রাতটি গোপন রাখার উদ্দেশ্য হলো, যাতে মানুষ শেষ দশকের প্রতিটি রাতকেই কদরের রাত মনে করে ইবাদত করে। হাদিসেও এমনটি এসেছে যে, নবীজিকে কদরের রাতটির কথা তার অন্তর থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়, ফলে তিনি সেটি ভুলে যান। তখন তিনি বলেন, ‘হয়ত এর মধ্যেই তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে।’ (বুখারি: ২০২৩)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে রমজানের শেষ দশকের প্রত্যেক বিজোড় রাতে ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন।

RSS
Follow by Email