শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
Led01রাজনীতি

মাসদাইরের হামলায় আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি অবস্থান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দেশী অস্ত্র হাতে একদল লোক মাসদাইরে আওয়ামী লীগ অফিসসহ আশপাশের এলাকায় হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা কারা এবং কী উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে, তা এখনো কেউ বলতে চাইছে না।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বলছে, হামলাকারীরা বিএনপির অনুসারী। তবে, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দাবি, আওয়ামী লীগের লোকজনই হামলার ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির নামে চালিয়ে দিতে চাইছে।

আর পুলিশ বলছে, দ্রুতই হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

ফতুল্লায় মাসদাইর তালা ফেক্টরী মোড় থেকে শেরে বাংলা রোড হয়ে ঈদগাহ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ অফিস, রেস্টুরেন্ট, মুদিদোকানসহ বাসা বাড়িতে ১৯ আগস্ট রাত ৯টার দিকে হামলা চালিয়েছে দূবৃর্ত্তরা। পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দিনভর বিষয়টি নিয়ে চলেছে আলোচনা-সমালোচনা। সেই আলোচনা গড়িয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র পর্যন্ত।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া হামলার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এক দল লোক হামলা ভাঙচুর চালাচ্ছে। পথচারীদের করা হচ্ছে মারধর।

অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে, মাসদাইর তালা ফেক্টরীর মোড় এলাকার অমিয়, সাজ্জাদ, আকাশসহ বেশ কয়েকজনের সাথে দীর্ঘদিন যাবত ক্ষমতার দন্ধ চলছিল পাকাপুল এলাকার নেছার, পেটলা সাব্বির গ্রুপের। মূলত দুই গ্রুপই ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। ক্ষমতা প্রদর্শনের জেরে ১৯ আগস্ট রাত ৯টার দিকে নেছার ও পেটলা সাব্বিরের নেতৃত্বে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় অমিয় গ্রুপের একজন যুবক গুরুত্বর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নূরে আযম লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, এখনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি, কাউকে গ্রেপ্তারও করা সম্ভব হয়নি।

তবে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক মো. জহিরুল হাসান জানান, হামলাকারীরা বিএনপি-জামাতের অনুসারী। এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে তাঁরা পরিকল্পিত ভাবে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে পালিয়ে গেছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, আওয়ামী লীগের লোকজনই হামলার ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির নামে চালিয়ে দিতে চাইছে।

হামলাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামীদের শনাক্ত করা হচ্ছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ৩টি টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

এদিকে, হামলার বিষয় নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি দেখার সাথে সাথেই আমি পুলিশ সুপার ও ওসি সাহেবের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা আশ্বস্ত করেছে দ্রুতই হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনবে। তারা যদি কোন কারণে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ না করতে পারলে জনগণকে নিয়ে এটার প্রতিরোধ করা ৫ মিনিটের ব্যাপার।

RSS
Follow by Email