বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
জেলাজুড়েফতুল্লারাজনীতি

মাঠ পরিদর্শনে এসে ক্ষমা চাইলেন শামীম ওসমান

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে হাত জোর করে ক্ষমা চাইলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান। তিনি বলেন, আমি সবার থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমার অনেক সিনিয়র নেতা কর্মীরা আছেন যারা না থাকলে আজ আমি শামীম ওসমান হতে পারতাম না। তারা ছাড়া আমার দুই পয়সার দাম নেই। কিন্তু যেহেতু নেত্রী আসছেন তাই নেত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে মঞ্চে নির্দিষ্ট কিছু লোক ছাড়া অন্য কাউকে উঠাবো না। আমাদের টার্গেট নেত্রী আসবেন, বক্তব্য দিবেন এবং সন্ধ্যার আগে ঢাকায় ফিরবেন। আমি আগেই থেকেই হাতজোর করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমার থেকে আরো অনেক সিনিয়ার নেতারা আছেন যাদের হয়তো ওই দিন যথাযথ ভাবে সম্মান দেখাতে পারব না।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে মাঠ পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই।

এসময় তিনি আরোও বলেন, যেহেতু আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জে তাদের নির্বাচনী শেষ সমাবেশটা করতে চাচ্ছেন সেখানে ওরা কিছু একটা করতে চাইবে। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলীয় অনেক হাই প্রোফাইল নেতাদের হত্যা করা চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএনপিরা হলো আগুন সন্ত্রাসী, ওরা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে। ওরা এই সমাবেশে থেকে কিছু একটা করতে চাইবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু প্রধানমন্ত্রী না, তিনি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। তার নিরাপত্তা হচ্ছে আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি। নেত্রীর নিরাপত্তা রক্ষীরা প্রচন্ড ভালো কাজ করছে, ওনারা যেভাবে বলছে আমরা সেভাবে কাজ করছি। কিন্তু আমরা আমাদের থেকেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব। আমার এলাকায় ৫৫ টা ওয়ার্ড আছে। প্রতিটা ওয়ার্ডে কোরআন খতম চলছে। অন্যদিকে কাবা ঘরে আমার ভাই সেলিম ওসমান ওমরা করতে ১০ জনকে পাঠিয়েছেন। ওইখানে তারা আল্লাহ কালাম পাঠ করবেন। এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে অনেক ভাবে হামলা করা হয়েছে। কিন্তু তাকে একমাত্র আল্লাহ তা’আলা বাঁচিয়েছেন এবং আগামীতেও তাকে আল্লাহ তাকে বাঁচাবেন। কারণে তিনি আমাদের দেশের জন্য জনগণের জন্য কাজ করছেন। আমি আশাবাদী এই সমাবেশটা নারায়ণগঞ্জের সর্বকালের সর্ব বৃহৎ সমাবেশ হবে। ইনশাল্লাহ আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি আগামী কাল রাতের মধ্যে আমরা মাঠ ঘুছিয়ে ফেলব। কে কে মঞ্চে থাকবেন এবং কে কে মাঠে থাকবেন সেটাও নির্ধারিত করবো।

শামীম ওসমান বলেন, আমাদের এলাকায় যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন তাদরে মঞ্চে উঠতে দেওয়া যাবে না এমন কোন নির্দেশনা নেই। এখানে আমার এলাকার ৮ থানার আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট থাকবে। এর মধ্যে তিনজন প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি হলো দলের এমপি ক্যান্ডিডেট। এছাড়া একজন বাইরের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং দলের সেক্রেটারী মঞ্চ উঠবে। এভাবেই আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মাঠ পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান লিটন, নারায়ণগঞ্জ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রফেসর ড. শিরিন বেগম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, নারায়ণগঞ্জ শহর যুব লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিমউদ্দিন প্রধান, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাইল রাফেল, মহানগর ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ও তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, যুবলীগ নেতা কাউসার আহম্মেদসহ নেতৃবৃন্দ।

RSS
Follow by Email