শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
Led02বন্দররাজনীতি

বিএনপিকে সেলিম ওসমান ‘নামও থাকবে না আপনাদের’

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, ‘আমি কতটা ভালোবাসা দিতে পেরেছি জানি না, কিন্তু বন্দর এলাকার মানুষ আমার মনে হয় নিজের থেকে আমাকে বেশি ভালোবাসে। যেখানে যাচ্ছি সেখানেই জনসভা হয়ে যাচ্ছে। করোনা আমাদের জীবন থেকে দুইটি বছর কেড়ে নিয়েছে। আমি ওই সময়টাতে আমার কাজ করতে পারি নাই। শান্তিরচরে যদি আমি ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন করতে পারলে, আজ বন্দরের ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো। প্রধানমন্ত্রী তার সব কিছু হারিয়ে আজ তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বানিয়েছেন আগামীতে তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বানাবেন।’

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বন্দর দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় আয়োজিত নির্বাচনী উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিম ওসমান বলেন, আমরা একটা যুদ্ধ করেছি, আপনারা আরেকটি যুদ্ধ করবেন। সেই যুদ্ধের সময় আগামী ৭ই জানুয়ারী। আপনি আপনারা ভোটটা প্রয়োগ করবেন। সেলিম ওসমান যদি খারাপ হয়, তাহলে ভোট দেওয়ার দরকার নাই। আজ জাতীয় পার্টি থেকে বেশি আওয়ামী লীগের লোকজন আমার সাথে কাজ করছে। তারাই আমার হয়ে আজ নির্বাচন করছেন। কিন্তু দুইজন মানুষ এতই কষ্ট পেয়েছেন যে তারা এখন তাদের কার্যালয়ের তালা খুলেন না। আমার জন্য আসেন আর না আসেন, বিএনপিকে প্রতিহত করার জন্য অফিস খুলে বসেন। কোন অবস্থায় এই আগুন সন্ত্রাসীরা যাতে রাজপথে আসতে না পারে। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে সম্মানিত করেছিলেন। আপনাদের থেকে জনগন কোন উপকার তো দুরের কথা, ব্যাংকে টাকা আটকে রেখেছেন; জনগনের টাকা।

বিএনপির সমালোচনা করে সেলিম ওসমান বলেন, এত চিন্তা কইরেন না। একসময় তো এই দেশটা মুসলিম লীগের ছিলো। আপনারা কিন্তু সেই পাল্লায় পইরা গেছেন। নামও থাকবে না আপনাদের। বিএনপি করেন ভালো কথা, আপনাদের অফিসে বইসা করেন। আমরা কিচ্ছু বলবো না। আপনারা বাস জ্বালাবেন না, বোম ফেলবেন না, রেল লাইন কাটবেন না। আমি আপনাদের সম্মান করবো, পুলিশ আপনাদের ধরবে না।

তিনি আরও বলেন, অনেকে দোষি করেন আমাকে, যে আমি মানুষের সাথে কথা বলি না। আমার কিছু নেতাকর্মী আমাকে একটা বাউন্ডারির মধ্যে রেখে দেন। আমাকে ডাকেন, আমি আসবো। আমরা যেভাবে ইউনিয়ন পরিষদ গুলো সাজিয়েছি, সেরকম ভাবে সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ড সাজাবো। ফুটপাতে দোকান রাখবো না। যেখা সেখান বাস-ট্রাক রাখতে পারবে না। সিটি কর্পোরেশনের মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে পারে।

উঠান বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দনশীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল (ভিপি বাদল), মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওয়াজেদ আলী খোকন, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিমউদ্দিন প্রধান সহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

RSS
Follow by Email