বাংলাদেশ-শ্রিলঙ্কা সিরিজ নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য, যা বললেন বিসিবি পরিচালক
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ টিটু বলেন, দল হেরে যায় জনগন নিজের মনে ভাব প্রকাশের জন্য যে কোন মাধ্যমে বিভিন্ন কথা বলে। আবার দেশ ভালো পার্ফম্যান্স করলে এই জনগনই দলের খেলোয়ারদের মাথায় তুলে রাখে। দর্শকরা ভালো খারাপ দুটোই বলবে, এটাই বাস্তবতা। আমরা ভালো খেললে আমাদের ভালো বলবে, খারাপ খেললে খারাপ বলবে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে নীট কনসার্ন মাস্টার ক্রিকেটের পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্টানে তানভীর আহমেদ টিটু আরেও বলেন, খেলোয়ারদের ফ্রম থাকে আবার অফ-ফ্রমও থাকে। একটি খেলোয়ার যখন অফ-ফ্রমে থাকে তখন তার সার্পোটের বেশি দরকার হয়। আমরা যদি তাদের সেই সময় সাপোর্ট করি তাহলে তারা আবারো মাঠে ভালো পার্ফম্যান্স করবে। সবার কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা সবাই আমাদের বাংলাদেশের খেলোয়াদের জন্য সার্পোট করবেন। তাদের সাথে থাকবেন। সামনে বিশ্বকাপ আছে, আমরা এই সিরিজ থেকেই যেন ভালো মনোভাব নিয়ে যেন বিশ্বকাপে যেতে পারি।
বিসিবির এই পরিচালক আরও বলেন, করোনার সময় সারা বিশ্ব স্থবির হয়ে পরেছিলো। আশেপাশের কোথায় কি হচ্ছে সেটা জানার সুযোগ ছিলো না। সে সময়ে আমাদের কিছু খেলোয়ার আছে যারা ঠিক মতো খাবার পায় নি। কিন্তু তারা কারো কাছে গিয়ে চাইতেও পারছে না। আমরা যারা খেলোয়ার আছি, আমরা সব সময় চাই সম্মান নিয়ে খেলোয়ার জীবনে মাথা উচু করে বাঁচতে। এই কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত করলাম আমরা যারা প্রাক্তন ক্রিকেটার আছি আমরা সবাই মিয়ে একটা সংগঠন করবো। আর এই সংগঠনকে টিকিয়ে রাখতে বছরে একটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করবো। সাবেক এই ক্রিকেটাররা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হবে। তাদের ব্যাক্তি মালিকানাধীন টিম থাকবে। সেখানে প্রতিটি প্লেয়ারকে ড্রাফ্টের মাধ্যমে দলে সিলেক্ট করার জন্য ব্যবস্থা থাকবে। এভাবেই যেন সবগুলো টিম সম-মানের হয়। এমন কোন টিম যাতে না হয় যেখানে সব শক্ত খেলোয়ার থাকবে আর সেই দলকে অন্য কেউ পরাজিত করতে পারবে না। এভাবেই শুরু থেকে বিভিন্ন সিজনে ৫ থেকে ৬ টি টিম নিয়ে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা শুরু হলো। আমাদের এখন বয়স হয়েছে, আমরা খেলা থেকে শুধু আনন্দ নিতে পারি। ভবিষ্যত প্রজন্মের খেলায়ারদের বিকাশের জন্য আমরা চাইলেই একটা যে পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারি সেটা আজ এমসিএ পরিবার প্রমান করে দিয়েছে। আমাদের পুলিশ সুপারকে আমাদের মাঝে পাওয়াটা আমার কাছে অনেক আনন্দের, কারণ তিনিও এক সময় ক্রিকেট প্লেয়ার ছিলেন। তিনি গতবছর থেকে বলছেন পুলিশদের সাথে আমাদের একটা ক্রিকেট খেলা হবে। আমরা সময় ও মাঠের অভাবে সেটা করতে পারছি না। আমরা অনুরোধ করবো এই রমজানের আগে এই ম্যাচটি করে ফেলতে।
তিনি আরও বলেন, এখানে যারা ক্রিকেট খেলে তাদের অনেকেরই ছেলেমেয়েরা জানে বাবা ক্রিকেট খেলে। কিন্তু বাবা কি খেলছে সেটা আজ মাঠে এসে দেখতে পাচ্ছে। অনেকের বাবা ছয় মারছে অনেকের বাবা আবার ক্যাচ ছেড়ে দিচ্ছে। এই যে একপা পারিবারিক বন্ধন এই বন্ধনটাই আমাদের অনেক বড় পাওয়া। এই বন্ধন অটুট রাখতে আমরা সবাই কাজ করে যাবো। এই বছরই যাদের বয়স ৩৫ এর ইপরে তারা খেলতে পারবো। এই সংগঠনের অনেক খেলোয়ার আছে যাদের বয়স ৬৫। এবছর বয়স ভেদে আমরা আলাদা টুর্নামেন্টে করেছি। যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি তাদের জন্য আলাদা খেলার আয়োজন করা হয়েছে।