বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
Led05জেলাজুড়েবন্দররাজনীতি

বন্দরে উত্তপ্ত হলো নির্বাচনী ময়দান

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৮ মে দেশজুড়ে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও এ দিন অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে চেয়ারম্যান পদে ৫ জনসহ ১১ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বন্দরে নির্বাচনী মাঠে সরব হয়ে উঠেছেন প্রার্থীরা। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ চালিয়ে জনসাধারণের কাছে হাজির হচ্ছেন। সেই সাথে উঠান বৈঠক, আলোচনা-সভার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে নির্বাচনী মাঠ অনেকটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

১৭ এপ্রিল সকালে যাচাই-বাছাই শেষে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১১ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন, বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ, বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও দুইবার সাবেক বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, মুছাপুর ইউনিয়নের সদ্য পদত্যাগ প্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন এবং তার পুত্র মাহমুদুল হোসেন। যদিও এর একদিন আগে আতাউর রহমান মুকুল ও আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে অপর প্রার্থী মাহমুদুল হোসেন যথাক্রমে করখেলাপি ও মনোনয়নপত্রে মামলার তথ্য লুকানোর অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ের দিন শুনানি শেষে এ আবেদন খারিজ করে মুকুল ও আবু সুফিয়ানের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

বন্দরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নানা সভা-সমাবেশে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছেন। সময় যত গড়িয়ে যায়, অনেকেই এ নিয়ে জনসমাগমে সরব হয়ে উঠেন। এলাকায় বাসিন্দাদের সাথে কুশল বিনিময়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করেন। তফসিল ঘোষণার আগ মুহূর্তে কয়েকজন আগ্রহী প্রার্থী পিছু হটলেও নির্বাচনী ময়দান প্রাণবন্ত করে রেখেছিলেন বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকসেদ হোসেন ও বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ রশিদ। নানা আলোচনা সভা, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে নিজেদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রার্থীতা ঘোষণার পর তাদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা পুরোদমে চালু হয়েছে। এতে করে নির্বাচনী মাঠে চমক আসছে বলে বলছেন বন্দরবাসী। তারা বলছেন, প্রার্থীদের সরব উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, উন্মুক্ত নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মূলত, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমেই ভোটারদের মূল্যাবান ভোট পাওয়া সম্ভব। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা বন্দরের নির্বাচনী মাঠে উত্তাপ ছড়ালেও নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলে নির্বাচনী মাঠ আরও উত্তপ্ত হবে।

RSS
Follow by Email