বন্দরের উন্নয়ন পল্লীবন্ধু হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের অবদান: সানু
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু বলেছেন, বন্দরে রেললাইন উঠিয়ে রাস্তা করা হয়েছে, এখানে আজ মিল ফেক্টরী তৈরী হচ্ছে। এগুলো উন্নয়ন আমাদের পল্লীবন্ধু হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের অবদান। আজকের বন্দরে এতো উন্নয়ন এগুলো অধিকাংশ ওসমান পরিবারের জন্য। আজকে এমপি সেলিম ওসমান নিজের টাকায় অনেক উন্নয়ন করেছেন। আজ বন্দরে কোন রাস্তাঘাট কাঁচা নেই। সেলিম ওসমান তাঁর ব্যক্তিগত অর্থায়নে ১০টিরও বেশী স্কুল কলেজ করে দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ বার এর ভবন করেছেন। ঈদের সময় প্রায় ৪০ হাজার পরিবারকে ঈদ সামগ্রী দিয়েছেন। করোনায় তিনি মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার পাঠিয়েছেন। আমাদের উন্নয়নের জন্য আগামীতেও তিনি কাজ করবে।
হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের ৪র্থ মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে নবীগঞ্জ অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সানাউল্লাহ সানু বলেন, এক সময় কালির বাজার বাসস্টান্ড থেকে পাগলা হয়ে গুলিস্তান যেতে হতো। কিন্তু আমাদের প্রয়াত নেতা হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড করেছেন। এছাড়া আমাদের নেতার নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত নাসিম ওসমান নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন। আজকে নারায়ণগঞ্জ সবচেয়ে ধনী জেলা হিসেবে ভূষিত হয়েছে। এইটা সমস্ত অবদান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের। আজকে বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্প এতো শ্রমিক কাজ করছে এটাকে এগিয়ে এনেছেন তিনি। ফতুল্লায় গরুর গাড়ি ও মহিষের গাড়ি দিয়ে ধান চাষ করতো সেই জায়গায় উন্নয়ন করেছেন। আজকে প্রাচ্যের ডান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জ পোশাক শিল্প তথা গার্মেন্টস শিল্প এগিয়ে আছে এসব অবদান কেবল আমাদের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমান।
তিনি আরও বলেন, ফেসবুকে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আমেরিকায় ওসমান পরিবারের ছোট সন্তান এমপি শামীম ওসমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করায় প্রতিবাদ করেছেন। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই যে তিনি নারায়ণগঞ্জের সন্তান হয়ে এই প্রতিবাদ তিনি করেছেন। আমি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ, প্রয়াত নাসিম ওসমান এমপিসহ নিহতদের মাগফিরাত কামনা করছি।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল ও মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক আফজাল হোসেন।
প্রধান বক্তা হিবেসে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির ১ নং যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রিপন ভাওয়াল।
আরও উপস্থিত ছিলেন- মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান বাদল, সহ-সভাপতি আরুন কুমার দাস, জেলা জাতীয় পার্টির ১ নং যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রিপন ভাওয়াল, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো.বাচ্চু মিয়া, বন্দর উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মো. আ. সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইন উদ্দিন মানু, মহানগর জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক আসরাফুল ইসলাম রোমান, সহ-সাধারন শরীফ শাহ, ১৪ নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল বাসেদ, ২১ নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি কামরুজ্জামান, ১৯নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মন্টু ও নুরনবী ওসমানী প্রমুখ।