ফতুল্লায় খাবার কিনে ফেরার পথে হামলা, বাড়িতে ভাংচুর
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লায় খাবার কিনে ফেরার পথে এক যুবকের উপর হামলার করা হয়, পরে দলবল নিয়ে ফের ওই যুবকের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ শাহীন কোল্ড ষ্টোরের পাশে এক বাড়িতে ওই হামলা চালানো হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত যুবকের নাম মো. ফারুক মাতাব্বর (৪৭)। সে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ শাহীন কোল্ড ষ্টোরের পাশে আ. কাদেরের বাড়ীর ৩য় তালার ভাড়াটিয়া ও একই এলাকার মৃত মালেক বাতকারের ছেলে।
অত্যদিকে অভিযুক্তরা হলেন,ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ এলাকার মৃত ইকবাল হোসেন ছেলে অনিক (৩০) ও সিজন (২৮)। একই এলাকার তোফাজ্জেল হোসেন তাপুসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে,
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৬অক্টোবর দুপুর ২টায় আমি আমার বাসা থেতে দুপুরের খাবার কেনার জন্য একটি ব্যাটারী চালিত অটো ভাড়া নিয়ে যমুনা গেটের সামনে আসি। হোটেল থেকে খাবার নিয়া পুনরায় বাসা যাওয়ার পথে বেলা অনুমান ০২.৩০ ঘটিকার সময় ধর্মগঞ্জ শাহীন কোল্ড ষ্টোরের সামনে পৌছাইলে রাস্তায় জ্যাম দেখিয়া আমার বহন কৃত অটো গাড়ীর চালক অটো থামানোর সাথে সাথে ২নং বিবাদী বিনা অপরাধে তাহাকে একটি চড় মারে। আমি কারন জিজ্ঞাসা করিলে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ডান চোখের উপর স্বজোরে ঘুষি মারিয়া রক্তাক্ত ভাখম করে। আমি আহত হইয়া মাটিতে পড়ে গেলে বিবাদী আমাকে এলোপাতাড়ী ভাবে কিল ঘুশি লাথী মারিয়া নীলা ফোলা জখম করে। আমি চিৎকার দিলে ২নং বিবাদী সিজন (২৮) হুমকি দেয়া যে বিষয়টি কাহাকে জানাইলে তোকে জীবনের তরে শেষ করিয়া ফেলবো।
তিনি আরও উল্লেখ্য করেন, আমি ভয়ে এবং লজ্জায় কোন প্রতিবাদ না করিয়া বাসায় চলিয়া যাই। অনুমান ২০ মিনিট পর উক্ত সিজনসহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা আমার ভাড়াটিয়া বাড়ীর ৩য় তালায় ফ্লাটে অনধিকার প্রবেশ করিয়া ভাংচুর শুরু করে। আমি প্রতিবাদ করিলে বিবাদী সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা আমাকে মারধর করতে করে এবং টানা হেচড়া করিয়া নীচে নামায়। এক পর্যায়ে ২নং বিবাদী তার হাতে থাকা লাঠি দিয়া মাথায় আঘাত করিয়া নীলা ফোলা জখম করে। অন্যান্য বিবাদীরা আমাকে এলোপাতাড়ী ভাবে মারধর সহ লাঠি দিয়া পিটাইয়া জখম করে। আমার চিৎকারে লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা হুমকি দেয় যে এ ব্যাপারে থানা / আদালতে মামলা করিলে জীবনের তরে শেষ করিয়া ফেলিবে। পরবর্তীতে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গিয়া চিকিৎসা করি। বিষয়টি এলাকার গন্য মান্য ব্যক্তিদের জানাইয়া অভিযোগ করিতে সামান্য বিলম্ব হইল । অতএব, এই বিষয় আইনগত ব্যবস্থা চলছে।