শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
Led01জেলাজুড়েরাজনীতিরূপগঞ্জ

প্রশাসন শক্ত ভূমিকায় থাকলে জনমনে স্বস্তি আসবে: তৈমুর

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, নির্বাচনী ময়দানে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন শক্ত ভূমিকা রাখছে। তারা যদি এভাবে তাদের ভূমিকা বজায় রাখতে পারে ও যারা বিশৃঙ্খলা করে তাদের আইনের আওতায় আনতে পারে, তবে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসবে। নির্বাচন করতে আমার জনগণের সাথে যে সম্পৃক্ততা নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আমি মনে করি। আমি শুধু নির্বাচনের সময় নির্বাচন করি না, আমি সারা বছরই নির্বাচন করি।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টায় দিঘিবরার সাইদ মার্কেটে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এড. তৈমুর আলম খন্দকার।

তৈমুর বলেন, আমাকে যদি কেউ ফোন করে বলে আমার বাবা অসুস্থ, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি, ঢাকার হাসপাতালে তাৎক্ষণিক আমি আগে হাসপাতালে উপস্থিত হই। পুরো নারায়ণগঞ্জবাসি, রূপগঞ্জের জনগণ জানেন যে রাত ২টায় ফোন দিলেও তৈমুর আলম খন্দকার ফোন ধরে। আমি সাবর পাশে থাকি ও খেদমতে এগিয়ে আসি। বর্তমানে গায়েবী মামলা-মোকাদ্দমার জন্যে যারা জেলখানায় আছেন, তাদের মুক্তির ব্যাপারে আমি কাজ করছি।

তিনি বলেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কমটিমেন্ট যেমন জরুরি, তেমন প্রয়োজন জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা। আমার জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা যথেষ্ঠ পরিমাণ আছে। আপনারা আমাকে সার্চলাইট দিয়ে দেখতে পারেন, আমার কোন কিছুতে গণবিরোধী ভূমিকা নাই। আপনারা হারিকেন, টর্চলাইট দিয়ে আমার চরিত্রকে সার্চ করলে দেখবেন, কোন প্রকার গণবিরোধী বৈশিষ্ট্য আমার নাই। আমি এপর্যন্ত যে গুলি খেয়েছি, নির্যাতিত হয়েছি, নিপীড়িতি হয়েছি, নির্যাতনের শিকার হয়েছি তা সবই হয়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের কথা বলে। রূপগঞ্জে জমিতে বালু ভরাট করে যারা দখল করেছে তার বিরুদ্ধে আমি একাই কথা বলেছি। আপনারা সাক্ষী, রূপগঞ্জের মানুষদের আমি ডেকে একত্রে এদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছি। ডিসি অফিসে মানববন্ধন করেছি, রাজপথে দাঁড়িয়েছি। বিআরটিসি, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও শিক্ষা বিভাগে আমি রূপগঞ্জের মানুষকে রেফার করেছি। কোটা ব্রেক করে চাকরি দেওয়ায় আমি জেল খেটেছি, কারও চাকরি যায় নেই, রূপগঞ্জবাসী তা জানে। আমি মনে করি জনগণের বিবেক এখন জাগ্রত আছে। জনগণ সৎ লোকের পাশেই দাঁড়াবে।

তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জের চাকুরী দিতে গিয়ে ও বর্তমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানের মামলা পরিচালনার জন্যে আমি এরেস্ট হই। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছিলাম। যখনই শুনেছি, তারেক রহমান এরেস্ট হয়েছেন আমি তার মামলা পরিচালনার জন্য বের হই। পরবর্তীতে টাস্ক ফোর্সের কাছে আমি এরেস্ট হই। তখন কেউ এগিয়ে আসে নাই। আমার সাথে যা হবার তাই হয়েছে। শহীদ জিয়া যাদের নিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তারা যে কারণে দল ছেড়েছিলেন, আমি সেজন্যই দল ছেড়েছি।

RSS
Follow by Email