শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
Led02জেলাজুড়েবন্দররাজনীতি

পরের বার বঙ্গবন্ধুর নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে চাই: সেলিম ওসমান

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, আমি জানি শুধু ভালোবাসা দিতে আর ভালোবাসা নিতে। আমি এক তরফা ভালোবাসা নিতে পছন্দ করি না, দিতেও পছন্দ করি। মানুষ যদি মানুষকে ভালোবাসেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা সব চেয়ে বেশী খুশী হয়। অনেকে বলে আমি নাকি অনেক কাজ করতে পেরেছি, ৮০% কাজ করেছি। কিন্তু আমি বলি এখনো ৮০% কাজ বাকি আছে। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর আমার মায়ের নির্দেশে ইচ্ছার বিরুদ্ধেই নির্বাচন করতে হয়েছিলো। কারণ আমি এই রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলাম ১৯৭৪ সালে। আমার মা বলেছিলো, ‘তোমার দাদা, বাবা, ভাই যা না করতে পেরেছে তোমাকে সেটা করতে হবে। আমার সন্তান হয়েছে মানুষের কাজ করার জন্য, আর যদি সেটা না করতে পারো তাহলে আমাকে মা বলে ডাকবা না। তোমার কাজ হবে মানুষকে সুশিক্ষিত করা। একটা পর একটা স্কুল বানাবা যাতে বাচ্চারা শান্তিতে পড়াশোনা করতে পারে।’ সেই জন্য প্রতিটা ইউনিয়নে আমি একটি করে স্কুল বানিয়েছি ৬তলার ফাউন্ডেশন দিয়ে।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ প্রাঙ্গণের, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সেলিম ওসমান বলেন, আমাদের কোন দল নাই। কিসের আওয়ামী লীগের দূর্গ, কিসের জাতীয় পার্টির দূর্গ আর কিসের বিএনপি’র দূর্গ। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপি একই মঞ্চে উঠে এই বন্দরের উন্নয়ন করেছি। আগে পল্লী বিদ্যুৎ ছিলো না এখন আছে, আগে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে সময় লাগতো কিন্তু এখন লাগে না। বন্দরে সব রাস্তা পাকা হয়েছে, বন্দরের মতো পাকা রাস্তা অন্য কোথাও হইছে বলে আমি মনে করি না। উন্নয়ন হয়েছে বন্দরে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নেত্রী না, তিনি সারা বিশ্বে এখন পরিচিত। আমরা অনেকে জানিও না বিশ্বে কত গুলো দেশ তাকে সম্মান দিয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করছেন। গত ১৫ বছরে যে পরিমান কাজ করেছে তারচেয়ে বেশী কাজ তিনি আগামী ৫ বছরে করবে। আজকে অনেক কাজ আমরা করতে পারি নাই। কারণ করোনা ছিলো। এর জন্য আমরা ২বছর পিছিয়ে পড়েছিলাম। আজকে আমি কিছুটা অসুস্থ,নয়তো এই জনসভার আয়োজন করতাম না। আপনাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসভা করতাম। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি নির্বাচন করবো না। কিন্তু আমার সুস্থতার জন্য লাখ লাখ মানুষ যে পরিমান দোয়া করেছে সেই দোয়ার জন্য হলেও আমাকে আজ নির্বাচন করতে হচ্ছে।আমি এবার প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম আমি নির্বাচন করবো আমাকে এবার নৌকায় উঠাতে হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আমার জন্য সেই জায়গাটা খালি রেখেছে। তিনি বলেছিলো ঘরের ছেলে ঘরেই থাকো। আমার বড় ভাই চারবার লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করেছেন, আমি দুইবার করলাম। এবারও হয়তো করবো। কিন্তু পরের বার বঙ্গবন্ধুর নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে চাই।

এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আজকে যারা কষ্ট পেয়েছেন, আওয়ামী লীগ অফিসে যান না ঘরে বসে আছে। আপনাদের একই ব্যবহারে ব্যবহার। বিএনপি বলছে তালা লাগায় দাও আর তাঁরাও আজ তালা লাগায় বসে আছে। ভাই আপনাদের তো অনেক কাজ আছে, বিএনপির অগ্নি সন্ত্রাস রুখে দাঁড়াতে হবে। শুধু চেয়ারে পোস্ট (পদবী) নিয়ে বসে থাকলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী না আপনি। আওয়ামী লীগের প্রতিটা মানুষ আজ বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে আমাদের নারায়ণগঞ্জের মিল কারখানা গুলো নষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু আমরা আবার এই নারায়ণগঞ্জে শান্তির চরে শিল্প পার্ক করবো, যদি আপনারা আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আসতে দেন। সেলিম ওসমানকে আবার ক্ষমতায় না আনলে কোন সমস্যা নাই কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না আসলে আপনি শান্তিতে বাড়িতে থাকতে পারবেন না, রাজাকার আল বদররা দেশটাকে দখল করে নিবে।

ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশীদ, বন্দর উপজেলার সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন, ধামগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিমউদ্দিন প্রধান, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন প্রমুখ।

RSS
Follow by Email