মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
জেলাজুড়েধর্মবিশেষ প্রতিবেদন

পবিত্র শবে কদর চেনার উপায়

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: লাইলাতুল কদর বা শবে কদর মুসলিমদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই রাতের কোরআন নাযিল হয়েছে বলেই এই রাত হাজার মাসের অপেক্ষায় উত্তম। এ রাতের ফজিলত কিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবে বলে পবিত্র কোরআন ও একাধিক হাদীসে উল্লেখ আছে। রমজান মাসের কোন রাত শবে কদর এটি নিদিষ্ট করে বলা হয় নি। কিন্তু এই বিশেষ রাত সম্পর্কে কিছু নিদর্শন দেয়া হয়েছে।

আসুন জেনে নেই শবে কদরে চেনার কিছু উপায় বা আলামত..

১. বিশ্ব নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে কদর তালাশ করো।’-সহিহ বোখারি

২. শবে কদরের রাতটি রমজানের বেজোড় রাতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে কদরের রাত খোঁজ কর। -সহিহ বোখারি

৩. এ রাত রমজানের শেষ সাত দিনে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর (কদরের রাত) অন্বেষণ করতে চায়, সে যেন রমজানের শেষ সাত রাতের মধ্য তা অন্বেষণ করে। ’

৪. রমজানের ২৭ শে রজনী লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। হাদিসে আছে, উবাই ইবনে কাব হতে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন যে, আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি যতদূর জানি রাসূল (সা.) আমাদেরকে যে রজনীকে কদরের রাত হিসেবে কিয়ামুল্লাইল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা হল রমজানের ২৭ তম রাত। -সহিহ মুসলিম

এবিষয়ে হজরত আবদুল্লাহ বিন উমার থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কদরের রাত অর্জন করতে ইচ্ছুক, সে যেন তা রমজানের ২৭ রজনীতে অনুসন্ধান করে। -আহমাদ

কদরের রাত হওয়ার ব্যাপারে সম্ভাবনার দিক থেকে পরবর্তী দ্বিতীয় সম্ভাবনা হল ২৫ তারিখ, তৃতীয় হল ২৯ তারিখে। চতুর্থ হল ২১ তারিখ। পঞ্চম হল ২৩ তারিখের রজনী।

৫. সর্বশেষ আরেকটি মত হলো- মহিমান্বিত এ রজনীটি স্থানান্তরশীল। অর্থাৎ প্রতি বৎসর একই তারিখে বা একই রজনীতে তা হয় না এবং শুধুমাত্র ২৭ তারিখেই এ রাতটি আসবে তা নির্ধারিত নয়। আল্লাহর হিকমত ও তার ইচ্ছায় কোনো বছর তা ২৫ তারিখে, কোনো বছর ২৩ তারিখে, কোনো বছর ২১ তারিখে, আবার কোনো বছর ২৯ তারিখেও হয়ে থাকে।

৬. এ রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।

৭. নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।

৮. মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।

৯. সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।

১০. কোনো ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন।

১১. ওই রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।

১২. সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত। -সহিহ ইবনু খুজাইমা: ২১৯০, বোখারি: ২০২১, মুসলিম: ৭৬২।

RSS
Follow by Email