শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
Led02অর্থনীতিজেলাজুড়েসদর

পণ্যের দাম নির্ধারণের ৩ দিন পরও বাজারে নেই প্রভাব, ক্রেতাদের ক্ষোভ

লাইভ নারায়াণগঞ্জ: দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে কুপোকাত জনসাধারণ। বিশেষ করে শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষদের কষ্টের যেন কোন সীমা নেই। জনগণের এ দুর্ভোগ কমাতে ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। আলু, পেঁয়াজ, টমেটো, মুরগী, গরু-খাসীর মাংস, মাছসহ প্রতিদিনের খাবারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য রয়েছে ওই ২৯টি পণ্যের তালিকায়। তবে পণ্যের দাম নির্ধারণের ৩ দিন পার হবার পরও বাজারে এর কোন প্রভাব পড়েনি। বরং বাড়তি দামে পণ্য বিক্রিতে ব্যস্ত বিক্রেতারা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) নগরীর নিতাইগঞ্জ বাজার, কালিরবাজার ও দ্বিগুবাবুর বাজারে সরেজমিনে গিয়ে এ দৃশ্য ভেসে উঠে। সরেজমিনে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত দামে বাজারে কোনো পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। এমনকি দোকানে টানানো হয়নি সরকারি ভাবে নির্ধারিত পণ্যের মূল্য তালিকা। সেই সাথে পণ্যের বাড়তি দাম চাওয়ায় ক্রেতাদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়াচ্ছেন বিক্রেতারা।

দ্বিগুবাবুর বাজারে ৭৫০-৮০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। যেখানে, সরকার নির্ধারিত দাম করা হয়েছে ৬৬৪.৩৯ টাকা। বয়লার মুরগী বিক্রেতারা কেজি প্রতি চাইছেন ২২০-২৩০ টাকা, যার সরকার নির্ধারিত দাম ১৭৫.৩০ টাকা। ডিম প্রতি পিছ ১০.৪৯ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খেসারির ডালের দাম ৯২.৬১ টাকা নির্ধারণ করা হলেও নিতাইগঞ্জ ও কালিরবাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায়। সরকার পেঁয়ারে দাম কেজি প্রতি ৬৫.৪০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে দ্বিগুবাবুর বাজারে পেঁয়াজের খুচরা কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকায় ও পাইকারিতে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পণ্যের বাড়তি দাম রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। বন্দরের নবীগঞ্জ থেকে আসা আলী আজগর বলেন, রোজার মাসে মুসলিম রাষ্ট্র গুলো খাদ্য দ্রব্যের দাম কমিয়ে দেয়। কিন্তু আমাদের দেশে মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা যেন এ মাসে আরোও সুযোগ পেয়ে যায়। ছেলেমেয়ের লেখাপড়া ও বাড়ীর বিদ্যুৎ বিল দিয়েই বেতনের অর্ধেক চলে যায়। শুনেছি সরকার পণ্যের দাম বেধে দিয়েছে। তবে বাজার এসে এর কোন প্রভাব দেখতে পাইনি। বরং জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্য এক ক্রেতা সামিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে এসেছিলাম ১ কেজির একটা মুরগী নিতে। একে তো দোকানী সাফ মানা করে দিল, ১ কেজির মুরগী নেই। অপর দিকে সে মুরগীর কেজিতে চাইছে ২৩০ টাকা। এ নিয়ে তার সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মুরগী না নিয়ে চলে আসি। সরকার কিসের দাম নির্ধারণ করছে? সব কিছুর দাম আগের চাইতে আরোও বাড়ছে।

এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক লাইভ নারায়াণগঞ্জকে বলেন, বাজারে আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এব্যপারে নারায়াণগঞ্জ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (সংযুক্ত) মো. আতিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

RSS
Follow by Email