নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে বাসদের লিফলেট বিতরণ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করে জেলা বাসদ। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারী) সকালে নগরীর ২ নং রেল গেইট, দ্বিগুবাবু বাজার, পুরান কোর্ট রোড, কালির বাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সহসাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সোহাগ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতা জিহাদ হোসেনসহ বাসদ নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতার পর আমাদের দেশে ১১ টি নির্বাচন হয়েছে। এর ৭ টি নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে। প্রত্যেকটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, কারচুপির অভিযোগ ছিল। কোনটায়ই সরকার পরিবর্তন হয়নি। আর ৪টি নির্বাচন তদারকি তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছে, মানুষ ভোট দিতে পেরেছে। সবগুলোতে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ২০১৪ সালে বিনাভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০১৮ সালে নিশি ভোটে ক্ষমতা দখল করেছে। এবার আমি এবং ‘ডামি’ নির্বাচন করে পুনরায় ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা করেছে। বাংলাদেশের জনগণ অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় না। ফলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। গণদাবি উপেক্ষা করে সরকার তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে একতরফা নির্বাচনী তামাশা আয়োজন করতে গিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা করেছে। এই নির্বাচন যে নির্লজ্জ প্রহসন তা ভোটের প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যায়। একদিকে আওয়ামী নৌকার প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী, ডামি প্রার্থী, ১৪ দলের উচ্ছিষ্ট ভোগী শরীকদের প্রার্থী, সুবিধাভোগী জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের প্রার্থী সবাইকেই গণভবন থেকে শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আওয়ামীলীগ যে বর্তমানে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী, ব্যাংক ডাকাত, ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারীদের পাহাড়াদার দল এবং পার্লামেন্ট কোটিপতিদের ক্লাবে পরিণত করেছে তা মন্ত্রী এমপিদের এবং সরকার দলীয় প্রার্থীদের হলফনামায় দেয়া সম্পদ বৃদ্ধির বিবরণী দেখলেই পরিষ্কার বুঝা যায়। তাছাড়াও এবারে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে ৮৭% কোটিপতি রয়েছে। পাতানো নির্বাচনের সংসদে এই কোটিপতি প্রার্থীরা যে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, লুটপাটকারী, পাচারকারীদের স্বার্থ রক্ষা করবে তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। এখানে দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ সাধারণ মানুষের সংকট নিরসন সম্পূর্ণ উপেক্ষিত। আগামী ৭ জানুয়ারি যে ইলেকশন হবে না, সিলেকশন হবে তা দেশবাসী বুঝতে পারছে। এই নির্বাচন বন্ধ করে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন অন্যথায় দেশ এক ভয়ানক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটে নিপতিত হবে।