সোমবার, মে ৬, ২০২৪
Led04জেলাজুড়েধর্মসদর

নারায়াণগঞ্জে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইস্তিস্কা নামাজ আদায়

লাইভ নারায়াণগঞ্জঃ তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ শহরের জনজীবন। অব্যাহত তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। গরম থেকে বাঁচতে বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইস্তিস্কা নামাজ আদায় করেছে নারায়ণগেঞ্জের ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় নগরীর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এই নামাজে ইমামতি করেছেন দেওভোগ দাতা সড়ক এলাকার বড় মসজিদের খতিব আবদুর রহমান।

তীব্র গরমে সূর্যের তাপ উপেক্ষা করে নামাজে মুসল্লিরা অংশ নেন। নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে বৃষ্টি প্রার্থনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা। এই নামাজের স্থানে মুসুল্লিদের জন্য ত্রিপল, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছেন স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন ‘টিম খোরশেদ’।

স্থানীয় কাউন্সিলর ও নামাজ আদায় করা মুসুল্লি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, নারায়ণগঞ্জে বিশিষ্ট ওলামা একরামদের আয়োজনে ও আমাদের সহযোগীতায় আজকের নামাজের আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজন মূলত আল্লাহর কাছে তওবা করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থণা করা। আল্লাহ আমাদের তওবা কবুল করুক এবং নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হোক এটাই আমাদের উদ্দেশ্য ও দোয়া ছিলো।

ইস্তিস্কা নামাজ আদায় শেষে মুসুল্লিরা জানান, আমরা মূলত সালাতুল ইস্তিস্কা নামাজ বা বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ আদায় করেছি। যদি কোন জায়গায় অনেকদিন যাবত অনাবৃষ্টি থাকে বা কোন তাপ-গরম থাকে, তাহলে সেখানকার আলেম ওলামা এবং মুসুল্লিরা মিলে একটা নামাজের আয়োজন করেন। আমরা সেই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করি যাতে তিনি আমাদের বৃষ্টি দেয় এবং এই গরম থেকে মুক্তি দেয়। আমরা বৃষ্টির নামাজ পড়লাম। দীর্ঘদিন যাবত গরম, আমাদের প্রার্থণা একটাই যাতে করে এই নামাজের উসিলায় বৃষ্টি হয়। আল্লাহপাক বলেছে তোমরা নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থণা করো। গরমের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে চলে গেছে এতে মানুষ অতিষ্ট হয়ে গেছে। আমরা এই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থণা করি, যাতে করে তিনি আমাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন।

নামাজে ইমাম খতিব আবদুর রহমান বলেন, মানুষ রাস্তাঘাটে মিছিল করে, মানববন্ধন করে, বিভিন্ন সভা সেমিনার করে, দলীয় সরকারের কাছে দাবী আদায়ের আপ্রাণ চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত নিজের দাবি আদায় করতে সক্ষম হয়। কিন্তু আসমানের মালিকের কাছে এসব করে একফোঁটা দাবি আদায় করা সম্ভব হবে না। আসমানের মালিকের কাছে দাবি আদায়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো দু’হাত তুলে মোনাজাত করা। আজকে অনাবৃষ্টিতে দেশ জ্বলে পুড়ে ছাড়খার হচ্ছে, বনের পশুপাখিও হাহাকার করছে। আরশে আজিমের মালিক আমাদের উপর নারাজ হয়েছে তাই বৃষ্টি বন্ধ রেখেছে। তাকে খুশি করার জন্য ও দুইফোঁটা বৃষ্টির জন্য আমরা আজ ঈদগায়ে একত্রিত হয়েছি।

RSS
Follow by Email