শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
Led05জেলাজুড়েরাজনীতিসদর

নারায়ণগঞ্জ হল সন্ত্রাসের অভ্যায়ণ: তৈমূর

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: তৃনমূল বিএনপির মহাসচিব এড তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, নারায়ণগঞ্জ হল সন্ত্রাসের অভ্যায়ণ। ২০০৩ সালের ২১ অক্টোবর জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও ৪২টি প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা হয়েছিলো। সেখানে জুট সন্ত্রাস মাদক সহ সমাজের বিভিন্ন অপরাধ নিয়ে বক্তব্য রাখেন শাব্বির আলম খন্দকার। ওই সভায় অনেক বড় ব্যবসায়ী নেতা ছিলেন, তারা কিছু বলেনি। শাব্বির বিকেএমইএ ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যও ছিলেন। ওই সময় ও দাড়িয়ে বলেন, আমার জানাযায় অংশগ্রহণ করার আহবান জানিয়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য শুরু করছি। ওই তিনি, সন্ত্রাস ঝুট সন্ত্রাস সহ বিভিন্ন অপরাধ তুলে ধরেন। এতে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন এ্যাকশণ শুরু হয়। এর জের ধরে শাব্বিরকে হত্যা করা হলো। তাকে এই হত্যা কারণে আপনারা প্রতি বছর স্মরণ করেন।

রবিবার (১৮ ফ্রেবুয়ারি) সকাল প্রেস ক্লাবের সামনে শাব্বির আলম খন্দকারের ২১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শোক র‌্যালী ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার ফাউন্ডেশন। এসময় সভায় বক্তভ্য এ কথা বলেন তিনি।

সভায় তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, হত্যার পর বিকেএমইএ থেকে আমাদের পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা অনুদান দিতে চেয়েছিল। আমরা সেই টাকাটি গ্রহণ করেনি, বলেছি তাকে (শাব্বির) সম্মানটুকু করবেন। আমরা টাকাটা চাই না। দুঃখের সহিত বলতে চাই, বিকেএমএইএ সভাকক্ষে শাব্বির আলম খন্দকারের নাম রাখা হয়েছিলো। তাকে উৎসর্গ করে তার নামে রাখা হয়েছিলো। আমি জানতে পারলাম, সেই নামটি এখন উঠিয়ে ফেলা হয়েছে। বিকেএমইএ’র নতুন ভবনে তার নামকরণে সভাকক্ষ রাখা হয়নি। আমি সেলিম ওসমান এমপি সাথে কথা বলেছি, আমরা আপনাদের কাছ থেকে কোন আর্থিক সহযোগিতা চাই না। শাব্বির গার্মেন্টস মালিকদের ঝুট সন্ত্রাসীদের হাত থেকে গার্মেন্টস মালিক বিকেএমইএ সদস্যদের রক্ষা করতে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছে। আপনারা নতুন ভবনে শাব্বিরের নামটি পুনরায় স্থাপন করুণ। চেম্বার অব কর্মাসে কাছে অনুরোধ করেছি, আপনারা শাব্বিরে ছবি স্থাপন করুণ। আগে চেম্বারে শাব্বিরের ছবি ছিলো, এখন সেই ছবিটি নেই। ব্যবসায়ীদের স্বার্থে শাব্বিরে জীবন গেলেও তাকে সম্মান না করলে আপনারা প্রশ্নবিদ্ধ হবেন। মাদক ইভটিজিং সন্ত্রাস চাঁদাবাজ নগরে পরিণত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি কয়েকবার বলেছেন, মাদক নিমূল করবেন। এই দেশ থেকে মাদক সন্ত্রাস চাঁদাবাজমুক্ত করতে হলে শাব্বিরের নামে শপথ নেন। তিনি যেভাবে আন্তরিকভাবে চেয়েছিলো, আপনার সেভাবে করুণ। শুধু লোক দেখানো ও পত্রিকায় কভারেজ নেয়া জন্য হলে মাদকমুক্ত হবে না।

এসময় সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন খান এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দাকার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, সাহাবুদ্দিন খন্দকার, শেখ মো. আমান, জয়নাল আবেদীন, আবুল কালাম আজাদ, মনোয়ার হোসেন শোখন, আইনজীবি নেতা এড. হামিদ ভাসানী, এড. বোরহান উদ্দিন সরকার, রানা মজিব, জুয়েল রানা, নাজমুল কবির নাহিদ, শওকত খন্দকার, আক্তার হোসেন খোকন শাহ, জুয়েল রানা, সুমন ভূইয়া, ইকবাল হোসেন, মোক্তার হোসেন, ফয়সাল মোল্লা, মোঃ শহিদ, মুসা, রানা মুন্সি, ওসমান গনি, সাইদুল, জুলহাস, প্রমুখ।

RSS
Follow by Email