শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
Led03জেলাজুড়েরাজনীতি

নারায়ণগঞ্জের অবরোধ চিত্র: দিনে স্থির, রাতে আতঙ্ক

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: একটানা অবরোধে নারায়ণগঞ্জের মানুষ দিনে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করলেও রাতে বদলে যায় দৃশ্যপট। রাত হলেই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছে মানুষ।

এদিকে, গত ৫ নভেম্বর গভীর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় অনাবিল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। বাসের চালক জানায়, ‘দুই হোন্ডায় ৪ জন লোক এসে হটাৎ বাসে আগুন লাগিয়ে চলে যায়। আমি তখন গাড়ির কিছু মাল-পত্র রাখতে একটি বাচ্চাকে বসিয়ে গেরেজে গিয়েছিলাম।’

অন্যদিকে, রবিবার (১২ নভেম্বর) মধ্যরাতে সানারপাড়ের পিডিকে পাম্পের পাশের এক গ্যারেজে পার্কিং করে রাখা একটি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

এসব আগুন কে বা কারা দেয় তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। পুলিশ অধিকাংশ আগুন দেওয়ার ঘটনায় কাউকে শনাক্ত করতে পারছে না। আওয়ামী লীগ নেতারা সভা সমাবেশে আগুন দেওয়া বিএনপি-জামায়াতের পুরোনো স্বভাব বলে দাবি করছেন। এ ক্ষেত্রে তারা ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনের আগে আগুন দেওয়ার ঘটনাকে টেনে আনছেন। অন্যদিকে বিএনপি নেতারা পালটা দাবি করছেন, বিএনপির আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাসে আগুন দিচ্ছেন।

জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের পরদিন দলটি সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। এরপর এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এর পর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ পালন করে বিএনপি। এর পর এক দিনের বিরতি দিয়ে ৮ ও ৯ নভেম্বর অবরোধ দেওয়া হয়। এর পর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ১২ ও ১৩ নভেম্বর দেশব্যাপী অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপি।

এদিকে, গত ২৮ তারিখ থেকে আজ (১২ নভেম্বর) পর্যন্ত নাশকতার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ৭টি থানায় মামলা হয়েছে ১৮টি। যাতে মোট ৪০০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসব মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতা আসামী হয়েছেন, অনেকে হয়েছেন গ্রেপ্তার।

রাতে মহাসড়কে বিক্ষিপ্ত দু-একটি অগ্নিকান্ডের ঘটনায় উদ্বিগ্ন পরিবহন চালক ও যাত্রীরা। এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, রাতে মহাসড়কে চলাচল করা কাভার্ডভ্যান বা পন্য পরিবহনকারীর ট্রাক চালকরা যদি আমাদের সহযোগীতা চায়; সেক্ষেত্রে আমরা সহযোগীতা করছি। যে দুয়েকটি ঘটনা ঘটছে সেগুলোতে গাড়ির ড্রাইভার-হেল্পার কেউ ছিলো না। তাও আমরা তাদেরকে সচেতন করছি। এখন যদি কেউ গ্যারাজে পার্কিং করা গাড়িতে গিয়ে আগুন দিয়ে দেয়, সেই ক্ষেত্রে কিছু বলার ভাষা আমার নেই।

পুলিশের এই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, পুলিশের পর্যাপ্ত টহল আছে এবং সর্বচ্চ চেষ্টা করছে যাতে কেউ কোথাও আগুন দিতে না পারে। এছাড়া ২৪ ঘন্টা জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমাদের পিকেট থাকে।

RSS
Follow by Email