বুধবার, মে ২২, ২০২৪
Led01রাজনীতি

দল-মতের উর্ধ্বে সেলিম ওসমান, প্রমান করলেন আবারও

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নাম তার একেএম সেলিম ওসমান, ছিলেন ব্যবসায়ী। ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের তৎকালিন সংসদ সদস্য বড় ভাই নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর মা ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহার নির্দেশে, ওই আসনের উপ নির্বাচনে জনগনের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজে নামেন এই ব্যবসায়ী নেতা। আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জাতীয় পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হন সেলিম ওসমান।

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের মানুষের কল্যাণে দল মতের উর্ধ্বে উঠে কাজ করা শুরু করেন সেলিম ওসমান। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ থেকে শুরু করে, তার সভা-সমাবেশে এক সারিতে দেখা যেতো আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের। যার কারণে সব মহলেই তিনি বেশ প্রশংসনীয় একজন ব্যক্তি।

শুধু রাজনীতি নয়, শক্ত হাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশের অন্যতম রপ্তানি খাত নিট শিল্পকেও। টানা ৭ম বারের মতো নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সভাপতি নির্বাচিত হয়ে, খাতটিকে নিয়ে গেছেন অন্যন্য উচ্চতায়।

জানা গেছে, এক মঞ্চে সব দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে উন্নয়ন কর্মকান্ড করতে গিয়ে কটাক্ষের শিকারও হয়েছেন বহুবার। তবুও থেমে থাকেননি তিনি। সকলকে একত্রিত করে, অনেকটাই পাল্টে দিয়েছেন বন্দর উপজেলার চিত্র। পাকা রাস্তা-ঘাট, নিজ অর্থায়নে ১০টির বেশি স্কুল, নদী পাড়াপারের জন্য দুইটি ফেরিসহ করোনাকালীন সময় মানুষের স্বাস্থ্য-খাদ্য নিশ্চিত করেছেন সেলিম ওসমান। যার কারণে তার ললাটে জুটেছে ‘দানবীর’ খ্যাতি।

দুই বারের মতো সদর-বন্দরবাসীর সেবার করার পর, নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগনের আবেদনের প্রেক্ষিতে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন সেলিম ওসমান। যদিও তিনি নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন, তবে কোনও কারণে এবারও তিনি জাতীয় পার্টির হয়ে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

তবে, এবারের প্রেক্ষাপট অনেকটাই ভিন্ন। নির্বাচনের মাঠে নেই রাজপথের অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি। বর্তমানে ভোট বর্জনসহ নানা বিষয় নিয়ে আন্দোলন করছে দলটি। তাই এবার বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নির্বাচন করাটা অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পরে সেলিম ওসমান। তবে, উন্নয়নের স্বার্থে সকলকে একসাথে নিয়ে কাজ করতে বদ্ধ পরিকর তিনি। তার বিভিন্ন চেষ্টার পর, বন্দর উপজেলার বেশি কয়েকজন বিএনপি নেতা জুড়েছেন তার সাথে। এমনকি সেলিম ওসমানের পক্ষে ভোটও আনবেন তারা।

গত ২৬ ডিসেম্বর বন্দর সমরক্ষেত্র মাঠে সেলিম ওসমানের পক্ষে আয়োজিত নির্বাচনী সমাবেশে সমর্থন জানিয়ে উপস্থিত হন সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হান্নান, বর্তমান কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা সুলতান আহাম্মেদ, ও সাবেক কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ। জানা গেছে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হলেও সমর্থনের বার্তা দিয়েছে বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল।

সমাবেশে বিএনপি নেতাদের প্রসঙ্গে সেলিম ওসমান বলেন, ‘বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মুকুল সাহেব, উনি এখানে আজ আসতে চেয়েছিলেন। আমি বলেছি, না তোমার আসার দরকার নাই। তুমি পিছনে থেকেই কাজ করো। তিনি বললেন, না আমি আসবোই। আমি বলেছি ৭ তারিখের পর এসে গরু জবাই করে আনন্দ হবে। কিন্তু ভোট দেব না, অংশ নেব না এমন পরিস্থিতি যাতে না হয় সেই সার্থে দায়িত্ব নিতে হবে। বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে আজ এখানে ৩ জন এসেছেন। ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সুলতান আহমেদ, ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে হান্নান, ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গোলাম নবী মুরাদ আছে। আমরা জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ চিনি না। আমরা একসাথে বন্দরবাসীর জন্য কাজ করব।

RSS
Follow by Email