ত্বকী হত্যার বিচার চেয়ে ২৫ জন বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ১১ বছরেও মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বিচার না হওয়ায় দেশের ২৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিবৃতিতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা, হস্তক্ষেপ ও দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, “নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ১১ বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামী ৬ মার্চ। অথচ আজো পর্যন্ত এ হত্যার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়ে বিচার কার্য শুরু করা হয় নাই। আমরা এতে উদ্বিগ্ন ও ক্ষুদ্ধ। অথচ এ হত্যাকাণ্ডের এক বছর না যেতেই এর তদন্তকারী সংস্থা র্যাব কেন, কখন, কোথায়, কারা এবং কীভাবে ত্বকীকে হত্যা করেছে তা সংবাদ সম্মেলন করে যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করেছিলেন, যা আমরা তখন সংবাদপত্র ও বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানতে পারি। তদন্ত শেষ করার দীর্ঘ দিন পরেও এ হত্যার অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করা হয় নাই।
রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের বিচার পাওয়ার অধিকার সংবিধান নিশ্চিৎ করেছে। অপরাধীদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দুর্বলতা প্রদর্শন ও বিচার ব্যবস্থায় বৈষম্য শুধু আইনের ব্যত্যয়ই নয় তা মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। কোন হত্যার বিচার বন্ধ করে রাখা কখনোই কাম্য হতে পারে না। আমরা অচিরেই ত্বকী হত্যার বিচার নিশ্চিৎ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, ভাষাসৈনিক লেখক ও গবেষক আহমদ রফিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, রবীন্দ্র-গবেষক শিক্ষাবিদ ড. সনজীদা খাতুন, লেখক অধ্যাপক যতীন সরকার, শিক্ষাবিদ ড. হায়াৎ মামুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক শিল্পী রফিকুন নবী, শিক্ষাবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, শিশু সংগঠক অধ্যাপক মাহফুজা খানম, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, মানবাধিকার সংগঠক এড. সুলতানা কামাল, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাষ্টি ডা. সারোয়ার আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক লেখক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, শিক্ষাবিদ গবেষক ড. সফিউদ্দিন আহমদ, শিক্ষাবিদ অধ্যপক শফি আহমেদ, নারী-অধিকার কর্মী লেখক ড. মালেকা বেগম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাষ্টি লেখক-গবেষক মফিদুল হক, মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অর্থনীতিবিদ অধ্যপক এম এম আকাশ, ডা. লেনিন চৌধুরী ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।