জাপা এমপির উন্নয়নে অভিভূত বন্দরের আ.লীগ-বিএনপির নেতারা
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য জমি কিনে ৩ তলা ভবন নির্মাণ করে দিয়েছেন; নবীগঞ্জ ইসলামীয়া মাদ্রাসায় করে দিচ্ছেন ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও একটি ভবন। শুধু আমার এলাকাতেই এতো উন্নয়ন করেছেন একেএম সেলিম ওসমান। তাহলে ভাবুন? নারায়ণগঞ্জ-৫ আসেন বিশাল এলাকায় কত উন্নয়ন হয়েছে।
নবীগঞ্জের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে একটি অনুষ্ঠানে কথা গুলো বলছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল। যাকে নিয়ে তিনি এত প্রশংসা করছেন, তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল জাতীয়পার্টির সংসদ সদস্য।
আতাউর রহমান মুকুলের ভাষ্য, ‘সেলিম ওসমানের উন্নয়নের কথা বলতে গেলে সারারাত পার হয়ে যাবে। আল্লাহ যেন তাকে হায়াৎ দান করে আমরা সেই দোয়াই করি।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসেন সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান।
নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়মা খানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কুদরত এ খুদা, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা।
বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ বলেন, কিছু মানুষ নিতে আসে আর কিছু মানুষ আমাদের মাঝে বিলিয়ে দিতে আসে। সেলিম ওসমান তাকে বিলিয়ে দিতে এসেছে। তিনি আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তাঁর এই সকল উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে। বন্দর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে তিনি আধুনিক মানের স্কুল-মাদ্রাসা নির্মাণ করে দিয়েছেন। তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে বন্দরবাসীর কাছে।
অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, ধামঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, ১৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না প্রমুখ।