শনিবার, মে ৪, ২০২৪
Led03জেলাজুড়েবন্দররাজনীতি

চেয়ারম্যান প্রার্থী এমএ রশীদের মত বিনিময় সভা

# মুকুলকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ভিপি বাদলের
# সড়ে দাড়ালেন আবু সুফিয়ান

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ রশিদের পক্ষে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪ টায় বন্দর ফরাজিকান্দা আওয়ামীলীগ অফিসের প্রাঙ্গণে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ানসহ বন্দরের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল বলেন, আমাকে এখানে আসার সময় জানানো হলো, কেউ বলেছে বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধে কোন অবদান নেই। যারা এই কথা বলেছে তারা তো স্বাধীনতা বিরোধী মানুষ। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময় অর্জিত এই স্বাধীনতার পক্ষে তারা প্রথম থেকেই ছিলো না। তাদের দাত ভাঙ্গা জবাব দিতে হবে ভোটার মাধ্যমে। আমরা সবাই রশিদ ভাইকে বিপুল ভোটে জয়ী করে সেটা প্রমাণ করে দেব। এই নারায়ণগঞ্জের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাটি।

তিরি আরও বলেন, ২ এমপি শামীম ও সেলিম ওসমানের সাথে কথা বলেই আজ আমি এই উদ্যোগে এসেছি। এখানে আবু সুফিয়ান কিন্তু তার দায়িত্ব সম্পর্ন করেছে। আজ আবু সুফিয়ানকে আওমীলীগের প্রাথী হিসেবে কোথাও দাড় করিয়ে দিলে আমার মনে হয়না তিনি ফেল করবেন। কারণ আওয়ামীলীগের প্রার্থী কখনো ফেল করে না। এবার নির্বাচনে রশিদ ভাইকে সবাই ভোট দিবেন। আমরা রশীদ ভাইয়ের ভোটের জন্য প্রতি ঘরে ঘরে যাবো। বন্দরের মাটি একমাত্র নৌকার ঘাটি। কেন্দ্রর নেতারা যখন জেনেছে এখানো নেকৈার ২ জন প্রার্থী তখন তারা আমাকে বলেছে, এখানে ২ জন নৌকা কেন। আমাদের শেষ হাসিনা আপা রশীদ ভাইকে খুব ভালোবাসেন। আজ সুফিয়ান যে সমর্থন দিয়েছে সেটাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। রশিদ ভাই অভিজ্ঞ নেতা। এখানে যারা আছেন, আমরা যার যার সেন্টারের নৌকার ভোট বুঝে নেব। জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আমরা এমএ রশীদ ভাইয়ের জন্য ভোট চাই।

বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ রশিদ বলেন, আমার আরও সুফিয়ানের মাঝে সমঝোতা হয়েছে। এই সমঝোতা বন্দর আওয়ামী লীগ ও বন্দরবাসী আজীবন মনে রাখবে। আবু সুফিয়ান বয়সে আমার ছোট হলেও জ্ঞানে আমার থেকে বড়। আমি সুফিয়ান একই দল করি। আমাদের কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা এসেছে। আমরা সেই নির্দেশনা মেনে নিয়েছি। এখানে কেউ কেউকে বসিয়ে দেয়নি নাই, এখানে সম্মান দেখানো হয়েছে। আবু আমি সুফিয়ানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, রাজাকার পরিবারের সদস্যদের মুখে বঙ্গবন্ধুর নামের এই কটূক্তি শোনা স্বাভাবিক। তারা এই দুর্সাহস আগেও দেখিয়েছেন। তাদের এই জবাব দেওয়ার জন্য বন্দরের সকল নেতাকর্মীরা সব সময় প্রস্তুত। কিন্তু সেই জবাব আপনি নিতে পারবেন না মুকুল সাহেব। তাই নিজেই বক্তব্য সংশোধন করেন। নাহলে আমরা সংশোধন করিয়ে দেবো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখতে আমরা সবাই কাজ করব।

মত বিনিময় সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই সুষ্ঠ ও নিরাপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। এটা গত জাতীয় নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। বিএনপি আমাদের নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করেছে। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সবার জন্য অবাধ করা হয়েছে, কোন দলীয় প্রতিক দেওয়া হয়নি। যার কারণে আমি এবং আমাদের রশীদ ভাই নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়েছি। কিন্তু দেখা গেলো, এই বন্দরে জাতীয় পার্টির একজন নামধারী নেতা নির্বাচন করছে যার পূর্বপুরুষ রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত। এখানে বিএনপি গোমটা লাগিয়ে নির্বাচনে এসেছে। মুকুল বিএনপির লোক। যখন তারা এমন খেলা শুরু করেছে, দলের উপর মহলের নেতৃবৃন্দদের মাধ্যমে রশীদ ভাই এবং আমার মধ্যে আলোচনা হয়। এখানে দলীয় স্বার্থে যাতে আওয়ামী লীগ যেন জয়লাভ করে তাই আমাদের একজনকে প্রার্থী হতে হবে। আওয়ামী লীগের পক্ষে জয় ছিনিয়ে আনার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি আমার নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছি। রশিদ ভাই জয়লাভ করলে স্বাধীনতার শক্তি নির্বাচিত হবে। এখানে খামচি দেওয়ার জন্য পরাজিত শক্তি চুপ করে বসে আছে। আমরা সবাই রশীদ ভাইকে ভোট দেব।

এসময় সভায় বন্দর ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আরও নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

RSS
Follow by Email