শনিবার, মে ৪, ২০২৪
Led02রাজনীতি

গাজী-শামীম-বাবু শিবিরে চিন্তার ভাজঁ

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে চ্যালেঞ্জিং। বিষয়টিকে মাথায় রেখে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যে দেশ জুড়ে আওয়ামী লীগ এমপিদের জরিপের রিপোর্ট পৌছে গেছে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। আর তাই দ্বন্দ্ব-কোন্দল দূর করে, দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

‘সেপ্টেম্বরেই কমপক্ষে ১০০ আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। বাকি ২০০ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে অক্টোবরে। আর দুই ধাপে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় পুড়তে পারে বর্তমান সংসদের কয়েকজন মন্ত্রীসহ শতাধিক এমপির কপাল’। এমন তথ্য দিয়ে দৈনিক সমকালে প্রকাশিত এক সংবাদে তোলপাড় শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে।

ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলার দুই টি আসনে প্রার্থী রদ-বদল হতে পারে’।

৫টি সংসদীয় আসন নারায়ণগঞ্জ জেলায়। যার মধ্যে তিনটি আসনে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য এবং দুইটি আসনে মহাজোটের অংশ জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য। সে হিসেবে আওয়ামীলীগের তিনজন এমপির ভাগ্য নির্ধারণে দুই জন ঝরে পড়তে পারেন। আর তাই, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের নজরুল ইসলাম বাবু ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের একেএম শামীম ওসমানসহ আওয়ামী লীগের এই এমপির ও তাদের শিবিরে চিন্তার ভাজঁ আসাটা স্বাভাবিক হিসেবে বলছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে টানা দুইবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন শামীম ওসমান। নারায়ণঞ্জ-২ আসনে টানা ৩ বারের মতো এমপি হয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু। এছাড়া, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লগের মনোনয়নে টানা দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী।

সমকালের ওই রিপোর্টে বলা হয়-
দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাইয়ের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে দেখভাল করছেন। ১০০ আসনে দলের মনোনয়ন নিশ্চিত– এমন প্রার্থীদের মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ বিরোধ এড়াতে আনুষ্ঠানিক নাম প্রকাশের ক্ষেত্রে সময় নেওয়া হচ্ছে। এই ১০০ আসনে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ আসছেন। তবে বেশির ভাগ আসনেই মনোনয়ন পাচ্ছেন বর্তমান এমপিরা।

মনোনয়নের দৌড়ে কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর অবস্থান খুবই নাজুক বলে জানা গেছে। কেউ কেউ এটা বুঝতে পেরে তাদের সন্তানকে দলের মনোনয়নের দৌড়ে শামিল করেছেন। মনোনয়নের ঝুঁকিতে থাকা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। তারা নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় থাকবেন না বলেও দলের কয়েকজন নেতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে বিভিন্ন আসনে বারবার নির্বাচিত এমপিদের কেউ কেউ এবার মনোনয়ন পাবেন না বলে জানা গেছে। তারা জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন বলে আলোচনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন উপনির্বাচনে বিজয়ী এমপির মধ্যে অনেকেই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন না বলে গুঞ্জন আছে। বর্ষীয়ান এমপিদের কেউ কেউ জীবনের শেষ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশায় দৌড়ঝাঁপ করলেও তারা ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাদের অনেককেই মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয়টি এরই মধ্যে আকার-ইঙ্গিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

RSS
Follow by Email