রবিবার, মে ৫, ২০২৪
সদর

কোটি টাকার সম্পত্তির ভুয়া দলিল, দাতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ভূয়া ব্যক্তিকে জমির মালিক দেখিয়ে কোটি টাকার নিবন্ধন করার অভিযোগ উঠেছে মোরশেদ আহমেদ বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা কোর্টে গড়ালে এখন জমিটির সেই দাতাকে খুঁজছে আদালত।

জমির মালিক দাবিদার নূর মোহাম্মদ জানান, ‘কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে আব্দুর রহিম নামের কোন ব্যক্তির অস্তিত নেই। ভূয়া একজন ব্যক্তিকে ওয়ারিশ সাজিয়ে দলিল করে জমিটি নিজেদের দেখানোর চেষ্টা করছেন মোরশেদ আহমেদ’।

নারায়ণগঞ্জ সদরের ‘ম’ খন্ড মৌজার আরএস ১১৬২ নং দাগের ৫ শতাংশ ৩৭ পয়েন্ট জমির এসএ ও আরএস রেকর্ড অনুযায়ী মালিক ছিলেন আব্দুল গনি। ১৯৭৪ সালের ১৮ এপ্রিল জমিটি ৯৬৭৫ নং দলিলে ক্রয় করেন নূর মোহাম্মদ। বর্তমানে জমিটি রং ও সুতার গোডাউন হিসেবে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন।

কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তিকে আব্দুল গনির ওয়ারিশ দেখিয়ে ২০১৭ সালে জমিটি ক্রয় করেন মোরশেদ আহমেদ।

জমিটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ প্রথম আদালতে দেওয়ানী (মোকাদ্দমা নং-২৯৯/১৭) একটি মামলা চলছে দু’পক্ষের মধ্যে। মামলাটির তদন্তে গিয়ে জমিটি নূর মোহাম্মদের দখলে পান নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে নিয়োজিত কমিশনার (সার্ভে) আইনজীবী আসাদুজ্জামান মিয়া।

আদালতের বিচারক আব্দুল গণির ছেলে পরিচয় দানকারী আব্দুর রহিমকে ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট জাতীয় পরিচয়পত্রসহ স্বশরীরে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু তাকে আদালতে হাজির করতে পারেনি মোরশেদ আহমেদরা।

নূর মোহাম্মদ জানান, ‘কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের আব্দুর রহিম নামের কোন ব্যক্তির অস্তিত পায়নি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান। ভূয়া একজন ব্যক্তিকে আব্দুল গনি মিয়ার ওয়ারিশ সাজিয়ে দলিল করে জমিটি নিজেদের দেখানোর চেষ্টা করছেন মোরশেদ আহমেদ ও তার ভাই পলাশ। আমাকে মিথ্যা ভাবে হয়রানীও করছেন তারা। মোরশেদ আহমেদরা তাকে কখনোই আদালতে উপস্থিত করতে পারবে না। কারণ ভূয়া ব্যক্তিকে আব্দুর রহিম সাজিয়ে জমিটি নিজেদের দেখানোর চেষ্টা করছেন।’

এ ব্যাপারে মোরশেদ আহমেদের ভাই পলাশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘নূর মোহাম্মদই ভূয়া দলিলের মাধ্যমে জমিটি ক্রয় দেখাচ্ছে। তার দলিল ভলিয়মে নথিভূক্ত হয়নি।’

RSS
Follow by Email