আমার ভবন ঘেরাও করলে আমি কেয়ার করি না: আইভী
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, সব আন্দোলন আইভী কেন করবে, সবাই কথা আইভী বলবে? টুকরো টুকরো এসব জিনিস বাদ দিয়ে গভীর এবং কোটি কোটি টাকার সম্পদের দিকগুলো লক্ষ করেন। হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। আপনারা যারা আমি মেয়র আইভীর ভবন ঘেরাও করছেন তারা শুধু বাহবা নিলেন। আর কিছুই হলো না। ভবন ঘেরাও করাতে আইভীর কিচ্ছু আসে যায় না। আইভী এগুলো কেয়ার করে না।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হেনা দাসের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট ও জেলা মহিলা পরিষদ উদ্দোগে আয়োজিত হয় জন্মজয়ন্তী। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন মেয়র আইভী।
সভায় তিনি আরও বলেন, মার্চ মাস আসলেই কিছু কিছু মানুষের মাথা গরম হয়ে যায়। কারণ মার্চ মাসে আমাদের মেধাবী সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। তবে প্রতিবছর লক্ষ্য করবেন এই মার্চ মাস আসলে আমাদের দৃষ্টি অন্য জায়গায় নেওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বা আন্দোলনের মতো বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করা হয়। এই মাসের আট, দশ তারিখ চলে গেলে আমাদের কদর কমে যায়। যেহেতু মার্চ মাস আসছে আমাদের সন্তানের বিচার চাইতে হবে।
মেয়র আইভী বলেন, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর মাসিমার সাথে আমার অল্প কিছুদিনের মধ্যে খুব মধুর একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমার মনে হয়েছিল, যে আমার বাইরে থেকে লেখাপড়া করা উচিত। এরপর আমি স্কলারশিপের ফ্রম বের করে এবং সেটা পূরণ করা জমা দেই। কিন্তু যেহেতু আমাকে আমার দল রেকমেন্ডেশন দেয়নি, তাই আমি মাসিমার কাছে গেলাম। তারপর আমি স্কলারশিপ পাই। যদিও অনেকে বলে আমি কমিউনিস্ট পার্টি দয়ায় স্কলারশিপ পেয়েছি। তবু যে আমার উপকার করেছে আমি তার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবো। আমি মনে করি কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করে, তার থেকে বড় অকৃতজ্ঞ এই দুনিয়াতে আর কেউ নাই। অবশ্যই সেই সময় আমাকে তারা অনেক সাহায্য করেছে। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর সেই পরিস্থিতিতে আমি কাকে বিশ্বাস করবো, কাকে বিশ্বাস করবো না সেটা নিয়ে আমি বেশ চিন্তায় ছিলাম। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমাকে যারা ছায়া দিয়েছেন, সে হিন্দু, মুসলিম, কমিউনিস্ট কিংবা আওয়ামী লীগের হোক আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। অনেকে বলে আমি কমিউনিস্ট পার্টের দয়ায় স্কলারশিপ পেয়েছি, হ্যাঁ পেয়েছি তাতে কি হয়েছে। আওয়ামী লীগের এবং কমিউনিস্ট পার্টির একটি ভালো সম্পর্ক ছিল। এতে অস্বীকার করার কিছু নাই। আমি যখন স্কলারশিপার জন্য চাইছিলাম তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেত্রী ছিলেন। তখন তিনি হাউস আ্যরেস্ট ছিলেন। আর হাউস আ্যরেস্ট থাকা অবস্থায় কেউকে রেকমেন্ডেশন করতে পারেনা। আজ যারা মিথ্যা লিখছেন তারা জেনে নিন।
এসময় সভায় জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাষ্টি লেখক ও গবেষক মফিদুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, হেনা দাসের কন্যা ডা. দীপা ইসলাম, দৌহিত্রি প্রকৌশলী নবনীতা ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এড. জিয়াউল ইসলাম কাজল, মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি রীনা আহমেদ ও শিক্ষক সমিতির জেলা প্রতিনিধি এড. হাসিনা পারভিন।