আমাদের মাকে যেন ধর্ষণ করতে না পারে: শামীম ওসমান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান বলেন, এই দেশ আমাদের মা। আমাদের মায়ের উপর বিপদ আসতেছে। আমাদের মায়ের মানচিত্রের উপর ঈগল থাবা দিতে আসতেছে। সাংবাদিকের সামনে এ বিষয়ে বেশি কথা বলতে পারব না। একটা কথা বলবো আমাদের মাকে যেন ধর্ষণ করতে না পারে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ফতুল্লার এনায়েতনগর খানকার মোড়ে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, আপনাদের কাছে আবদার। আমাকে ভোট দেন বা না দেন আমার আপত্তি নাই। কিন্তু সময় মতো সকালবেলা ভোটটা দিতে আইসেন। আপনাদের যতো আত্মীয়স্বজন আছে সবাইকে ফোন দিয়ে বলেন ভোট কেন্দ্রে আসতে। আমাদের আকাশে একটি ঈগল পাখি উড়তেছে। আজ বিএনপি সন্ত্রাস হয়ে গেছে আমাদের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চাইছে। যে ছেলেমেয়েরা বিএনপি করছে তাদের জন্য আমার মায়া লাগে। ওরা বিএনপি করে কিন্তু ওই ছেলের বাবা আমার পরিচিত, না হলে ভাই বা মা আমার পরিচিত। ওরা বিএনপি করলেও তারা আমাদের সন্তান। বিএনপি আমাদের ছেলে মেয়েদের নিয়ে ব্যবহার করছে। ছেলেমেয়ে নিয়ে তারা গাড়ি আগুন ধরানো শিখেছে। তারা এই কাজ ভিডিও করে পাঠাতে বলছে আর এই ভিডিও এখন সব পুলিশের কাছে। লন্ডনে বসে যারা হুকুম দেয় তাদের তো কিছু হবে না। যা হবে আমাদের ছেলেমেয়েদের হবে । আমি এখনোও বলতেছি আপনারা এবার থেমে যান। ওরা ভয়ংকর কিছু পরিকল্পনা করছে। সামনে হয়তো আরো ভয়ংকর কিছু করতে পারে। তবে নির্বাচন হবে ইনশাল্লাহ, একটা সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
শামীম ওসমান আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে পতিতা পল্লি পঠাতে উঠাতে পারছি, আল্লাকে খুশি করতে পারছি এটাই আমার বড় কাজ। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ নিয়ে না, সব ভালো মানুষকে নিয়ে কাজ করবো। বিশেষ করে ইয়াং জেনারেশন নিয়ে। আজ যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ তাদরে নিয়ে কাজ করবো। প্রতিটা ওয়ার্ডে ১ হাজার করে লোক নিয়ে কাজ করব। নারায়ণগঞ্জ ৮০ টা ওয়ার্ড আছে সব মিলিয়ে ৮০ হাজার লোক হবে। তারা সমাজের তারা সমাজের মাদক, চাঁদাবাজ এদেরকে দমন করবে ইনশাল্লাহ। আমি আর নির্বাচন করব না। ৯৯ শতাংশ ধরে রাখেন নির্বাচন করব না। নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ স্পেশাল স্কোয়াড আনবো । যারা মাদক বিক্রি করে তারা হচ্ছে শয়তান। হোক আমার ভাই, আমার ছেলে, আমার আত্মীয় স্বজনের মধ্যে যে কেউ যারা মাদকের সাথে জড়িত আমি তাদের ছাড়বো না। এওয়ার্ডের প্রতিটা লোক আমার পরিবারের একজন। মানুষ রাজনীতি করে বাড়ি গাড়ি করে কিন্তু আমি আমার বাড়ি বন্ধ করে রেখেছি। আমি আমার ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া শিখিয়েছে তারা নিজেরটা নিজে করে খাবে ইনশাল্লাহ। কেউ রাজনীতির ধান্দা হিসাবে নেয়, আবার কেউ রাজনীতিতে এসে সেবা করার জন্য। দোয়া করবেন এমন কাজ করে যেতে চাই যাতে আমার মৃত্যুর খবর শুনলে আপনাদের চোখ থেকে পানি ঝরে।
এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার রমিজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাকির হোসেনের আয়োজনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান এম শওকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুল হকসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।