বুধবার, নভেম্বর ২০, ২০২৪
Led03জেলাজুড়েসদর

অবশেষে সেলিম ওসমানের শর্ত মেনেই বসবে হকাররা, চলছে কার্ড বিতরণ

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নানা হুশিয়ারী ও আল্টিমেটামের পরে এমপি সেলিম ওসমানের শর্ত মেনে ফুটপাতে বসেছে হকাররা। পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহাকে সামনে রেখেই নিজ নিজ পসরা সাজিয়ে বসতে যাচ্ছেন তারা। হকারদের তালিকা অনুযায়ি বিতরণ করা হচ্ছে ২২০০ কার্ড। এই কার্ডধারী হকাররা নবাব সলিমুল্লাহ সড়কে বসার অনুমতি পাবেন। সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে পোশাক, জুতো, পাঞ্জাবি-পায়জামাসহ নানান পণ্য নিয়ে প্রস্তুত হকাররা।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) নগরীর নবাব সলিমুল্লাহ সড়কে দেখা মেলে এমন চিত্রের। সড়কের ২ পাশে বসে কেনাবেচায় নিয়ে স্থান নির্ধারণ করতে ব্যস্ত হকাররা। তালিকা অনুযায়ি বিশেষ কার্ড সংগ্রহ করতে ভির জমাচ্ছেন নগরীর হকার কার্যলয়ে। ইতি মধ্যে যারা কার্ড সংগ্রহ করেছেন তাদের মধ্যে স্বস্তির চিহ্ন লক্ষ করা যায়। এই সড়কে ব্যবসা পরিচালনায় আর কোন বাধা না পেলে, পরিবার নিয়ে ঈদ উপভোগ করতে পারবো বলে জানিয়েছে একাধিক হকাররা।

এসময় পারভেজ মিয়া নামের একজন হকার বলেন, আমরা প্রথমে বলেছিলাম বঙ্গবন্ধু সড়কেই বিকেল থেকে বসবো। কিন্তু আমাদের সেখান থেকে উঠিয়ে দিলো। তাছাড়া আমাদের উপর পুলিশি নির্যাতন তো চলতোই। তবে এখান সলিমুল্লাহ সড়কে বসার পারমিশন পেয়েছি। আমাদের তালিকা অনুযায়ি আজ কার্ড হাতে পেলাম। আমাদের সাথের কিছু হকার ভাই আছে, আমরা সবাই পরামর্শ করে একসাথে ব্যবসা বসবো। সআমাদের বলে দেওয়া হয়েছে শুক্র-শনি বাদে অন্যান্য দিন বেলা ১১ টা থেকে রাত ১১ পর্যন্ত বসা যাবে।


আরেকজন হকার রনি বলেন, আমাদের এমপি স্যার আমাদের যে ২২০০ কার্ড দিয়েছে সেই কার্ড নিতে এসেছি। আমাদের কাছে পারমিশন কার্ড থাকলে কোন পুলিশি বাধা পাবো না আশা করছি। বেচাকেনা এখন একটু কম হবে তবে চাঁদ রাতে একটু বাড়বে বলে আশা করি। যেভাবে প্রশাসন বলছে সেভাবে আমরা ব্যবসা চালাতে পারলেই হলো। তাহলে পরিবার নিয়ে ঈদ করতে পারবো ইনশা-আল্লাহ। তবে এখানে বসা নিয়ে হকারদের মধ্যে কিছু ঝামেলা হচ্ছে। আগে বঙ্গবন্ধু সড়কে থাকাকালীন সময় এলাকা ভিত্তিক নানা গ্রুপে ভাগ হয়ে যায় হকাররা। যেমন কালিবাজার এক গ্রুপ আবার ২নং রেল গেইট এক গ্রুপ এমন ভাবেই ভাগ হয়ে গেছে। এখন ফুটপাতে বসার স্থান নির্ধারণ নিয়ে গ্রুপে গ্রুপে ঝামেলা হচ্ছে। তবে নেতারা বলেছেন তারা কার্ড বিতরণের পর এই গুলো নিয়ে কথা বলবেন।

RSS
Follow by Email