মন্ত্রী গাজীর অনুসারী ও পাপ্পা গাজীর ঘনিষ্ঠ সেই ‘শমসের’ বাহিনীর তান্ডব
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নির্বাচনকে ঘিরে রূপগঞ্জে বিরাজ করছে টান-টান উত্তেজনা। এরই মধ্যে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ি হামার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছে ভুক্তভোগীরা। তাদের দাবি, শমসের আলীর নেতৃত্বে বাড়িঘরে হামলা করা হয়েছে। শমসের আলী কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক। তিনি মন্ত্রী গাজীর অনুসারী ও মন্ত্রী পুত্র পাপ্পা গাজীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচত। তবে, এ হামলার সাথে জড়িত নন বলে মন্তব্য করেছেন শমসের আলী।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্রের ২ নং ওয়ার্ডে দফায় দফায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগীরা জানান, চলতি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও রূপগঞ্জ ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূইয়ার জন্য নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করে আসছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার রাতে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শমসের আলীর নেতৃত্বে একটি দল তাদের বাড়িতে হামলা করে।
তারা জানান, হামলাকারীরা আওলাদ হোসেন, নুরুন নাহার, ওমর ফারুক খাজা ও সামছুন্নাহারের বাড়িঘরে হামলা করে। তারা হামার, শাবল দিয়ে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় বাড়ির সমস্ত মালামাল লুটের পর ঘরের দরজা-জানালা ও বাড়ির ইটসহ খুলে নিয়ে যায়। রাত ৩টা থেকে ভাংচুর ও লুটপাট করে হামলাকারীরা। এ সময় বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে আওলাদ হোসেন , তার স্ত্রীসহ ৮ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা পুত্রবধু মারধোরের শিকার হয়।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য শমসেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ফেসবুকে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে আমি একটি পোস্ট করেছি। পোস্টে রবিন নামে এক ব্যক্তি আমার মাকে নিয়ে বাজে কথা লিখেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অতি উৎসাহী হয়ে কিছু লোক আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করেছে, আমি পরে শুনেছি। এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত না
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভুইয়া লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারে না। বললেই বাড়িতে ভাঙ্গচুর করে, লুটপাট করে; এই হইলো অবস্থা। হামলাটি চালায় কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শমসের আলীর নেতৃত্বে চালানো হয়। আর নেপথ্যে তো তার গাজী আছেই। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই সে চড়াও হয়। এরকম অনেক মানুষ রয়েছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, সরকারি পরিসেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে রাতে আমরা হামলার বিষয়টি জানতে পারেন। পরে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌছানোর পর সন্দেহজনক কাউকে পাওয়া যায় নি। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।