বুধবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
Led02রাজনীতি

‘কপাল পুড়ছে’ আওয়ামী লীগের ৭০ প্রার্থীর, না.গঞ্জের কে?

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আওয়ামী লীগের ‘মনোনয়ন পেলেই এমপি’, এই কথা তেমন একটা খাটছে না আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত অন্তত ৭০ জন প্রার্থীকে আসন ছেড়ে দিতে হবে। আসন ভাগাভাগি নিয়ে এরই মধ্যে জোটসহ নানান দলের সঙ্গে চলছে দেনদরবার। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত অনেক প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারেন। এছাড়া নির্বাচনে ‘ডামি প্রার্থী’ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছেও হেরে যেতে পারেন আওয়ামী লীগের কোনো কোনো প্রার্থী। নির্বাচনে দলীয় টিকিট পাওয়া অনেক প্রার্থীই বিষয়টি জানেন এবং খোঁজখবর রাখছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি আওয়ামী লীগের ৬৯ সংসদ সদস্য (এমপি)। মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যেও অন্তত ৭০ জনের কপাল পুড়বে। এর মধ্যে কিছু আসনে ছাড় পাবে ১৪ দলীয় জোট, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি ও ইসলামি দলগুলো। আলোচনার ভিত্তিতে এসব দলকে বেশকিছু আসন ছাড়বে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি নিজ দলের ‘ডামি প্রার্থী’ ও স্বতন্ত্রদের কাছেও ভোটে পরাজিত হবেন কিছু প্রার্থী।

দলীয় সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া আরও ৭০ প্রার্থী বাদ পড়তে পারেন। এর মধ্যে ১৪ দলীয় জোটের ৮টি আসন আছে, তাদের দাবি আরও বেশি। জাতীয় পার্টির চাহিদা ৩০ থেকে ৩৫টি আসন। এ নিয়ে দফায় দফায় চলছে বৈঠক। তৃণমূল বিএনপি ও কয়েকটি ইসলামি দলকেও আসন ছাড় দেবে আওয়ামী লীগ। এর বাইরেও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে বেশকিছু জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী পাস করবেন।

তবে এবার আসন বণ্টনের বিষয়টি বেশ গোপনীয়তার সঙ্গেই করছে আওয়ামী লীগ। দলটির নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক হলেও আসন বণ্টনের বিষয়টি স্পষ্ট করেনি। জোট সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠকের পর আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত হবে।’

অথচ জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক নিয়েও বেশে লুকোচুরি করেছে দুই দল। কখন, কোথায় বসছে তা স্পষ্ট করেনি কেউই। ১৪ দলের বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, নির্বাচন সুন্দর, সুষ্ঠু করতে তাদের আলোচনা হয়েছে। আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়নি।

সম্প্রতি ৯টি ইসলামি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নির্বাচনে আসার আগ্রহের কথা জানায়। দলগুলো হলো- ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট, আশেকানে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। এসব দলের ১৪ জন নেতা বৈঠকে অংশ নেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ, আবুল হাসনাত আমিনী, মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ, সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী, মিসবাহুর রহমান চৌধুরী, শাহীনূর পাশা চৌধুরী, আলম নূরী ও আবুল খায়ের।

এদের অনেকেই নিজেদের সংসদ সদস্য হওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সহায়তা চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার পক্ষের ইসলামি শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

সূত্র: জাগো নিউজ।

এদিকে, এমন সংবাদের পর প্রশ্ন উঠছে তাহলে নারায়ণগঞ্জেও কি পুড়তে পারে আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থীর কপাল। কেননা বিগত দুই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ২টি আসন জাতীয় পার্টির প্রার্থীর জন্য চেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে, এবার নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন বাদে বাকি সব আসনে দেয়া হয়েছে নৌকার প্রার্থী।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের ৪টি আসনে নৌকার বিপরীতে রয়েছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী। যার মধ্যে সবচেয়ে হেভিওয়েট হিসেবে দেখা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে আলমগীর সিকদার লোটন ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে দুইবারের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে। অনেকের ধারণা এবারও সোনারগাঁ আসনটি জাতীয় পার্টির জন্য ছেড়ে দিতে পারে আওয়ামী লীগ।

তবে, সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন অর্থাৎ আগামী ১৭ ডিসেম্বর।

RSS
Follow by Email