ঢাকা-না.গঞ্জ রুটে বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
বাস কাউন্টারসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমাবেশের কারণে নেতারা সব বাস ভাড়া করে নিয়েছেন। একারণে বাস নেই।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জের ১ নম্বর রেল গেট এলাকা ও চাষাঢ়া এলাকায় যাত্রী দুর্ভোগের দৃশ্য দেখা যায়।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী সিটি বন্ধন পরিবহন, উৎসব ট্রান্সপোর্ট, শীতল এসি ট্রান্সপোর্ট, মৌমিতা বাস বন্ধ রয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-চিটাগাংরোড রুটে চলাচালকারী বন্ধু পরিবহন, বাঁধন পরিবহন বন্ধ রয়েছে। পুরাতন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ (পাগালা-ফতুল্লা-পঞ্চবটি) রুটে চলাচলকারী আনন্দ পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড ও চাষাঢ়া বাস স্ট্যান্ড এলাকার সব বাস কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। তবে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উৎসব ট্রান্সপোর্ট নামের বাসের কাউন্টার খোলা আছে। তবে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কাউন্টারে থাকা কর্মকর্তা চোখ বুজে ঝিমাচ্ছিলেন। বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে এই কর্মকর্তা জানান।
একইভাবে সিটি বন্ধন পরিবহনের কাউন্টারের পাশে টেবিলে বসে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি জানালেন, ‘ঢাকায় সমাবেশের কারণে নেতারা সব বাস ভাড়া করে নিয়েছে। এখন ঢাকায় যেতে হলে সিএনজি বা বিকল্প পরিবহনে করে যেতে হবে।’
সকাল ১১টা থেকে পরিবার সদস্যদের নিয়ে বাস কাউন্টারে বসে আছেন রোজিনা বেগম বলেন, ‘সমাবেশের কারণে নেতারা সব বাস ভাড়া করে নিয়েছে। একারণে কাউন্টারে বাস নেই। এখন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কীভাবে ঢাকায় যাবো? সিএনজি ভাড়া করে ঢাকায় গেলে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হবে। একারণে অপেক্ষা করছি, যদি কোনও বিকল্প পরিবহন পাই।’
স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বন্ধু পরিবহনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আফজাল মিয়া বলেন, ‘সমাবেশের কারণে সব বাস বন্ধ করে করে দিবে এটা কেমন কথা। একটা বাসও চলাচল করছে না। এখন কীভাবে ঢাকায় যাবো?’
নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম বলেন, ‘শামীম ভাইয়ের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল নিয়ে ঢাকার সমাবেশে যোগদান করবো। সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ৩৫০ টির মত বাস এবং ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে নেতাকর্মীরা সেখানে যাবেন।’