গিয়াসকে ইঙ্গিত করে শামীম ‘স্ট্যান্ডবাজি হচ্ছে’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘একজন এমপি হলেন নারায়ণগঞ্জে। তিনি এক বার আওয়ামীলীগে ছিলেন, পরে গেলেন জাতীয় পার্টি, এর পর বিএনপি। আবার ফিরলেন আওয়ামীলীগে, ফের গেলেন বিএনপিতে। এখন বিভিন্ন দলের দরজায় নক করছেন। শুনেছি নক করেছেন তৃণমূল বিএনপিতে। এতবড় পল্টিবাজ তো, তাই কেউ আর নিতে চাচ্ছেন না সম্ভবত।’
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় সিনেমন রেঁস্তোরায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র জমা না হওয়া পর্যন্ত বাতিলের কোন প্রশ্নই উঠে না, স্ট্যান্ডবাজি হচ্ছে। যখন উনি এমপি হয়ে আসলেন, উনার আমলে ব্যবসায়ী সুন্দর আলী আমাদের সমর্থককে দিনে দুপুরে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। ডেকে নিয়ে পিছন দিয়ে গুলি করা হয়েছিল তাকে। একজন বয়স্ক নেতা ছিল হাজী খবির উদ্দিন সাহেব, ৩ নং ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জের। তাকে মারা হয়েছিল। আমাদের খোকন ৬নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে মারা হয়েছিল। এমনকি বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই শাব্বির আলম খন্দকারকে হত্যা করা হয়েছিল। মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন বলে, দিন-দুপুরেই তাকে হত্যা করা হয়েছিল। আমাদের মাসুম, যুবলীগের কর্মী। ওকে মেরে নদীতে ফেলা হয়েছিল। আমাদের আব্দুল কাদির স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী, নূর মুহম্মদ মেম্বার তাদের মেরে ফেলা হয়েছিল। মেরে ফেলার লিস্টে আছে ১২ জন। আমাদের নজরুল ইসলাম সুইট, উনি প্রতিবাদ করেছিলেন। খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জে আসলে কালো পতাকা দেখিয়েছিলেন। জেল এ নেয়া হয়, পরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই যে হত্যার ঘটনা। এটা নারায়ণগঞ্জের চিত্র নয়, এটা শুধু আমার নির্বাচনী এলাকার চিত্র। আমরা ২০০৮ এ ক্ষমতায় এসেছি, আমি ২০১৪ থেকে এমপি হয়েছি। আমরা চাইলে অনেকের ক্ষতি করতে পারতাম। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেছেন, কোন প্রতিশোধ না, কোন প্রতিহিংসা না, ওরা যা করেছে আমরা তা করবো না। শয়তানের কাজ শয়তানি করা। আমরা যারা আল্লাহর বান্দা আছি, আমরা নেক কাজ করবো।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দনশীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাসহ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস ও তার ছেলের পক্ষে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এর খবর পেলে সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর এক চিঠিতে মনোনয়নপত্র বাতিলের কথা জানান সাবেক সাংসদ গিয়াস।