রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
Led05রাজনীতি

জন্মদিনে শাহ্ নিজাম ‘কর্মে মানুষের ভালোবাসা পেতে চাই’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘বাংলাদেশ নামের এই দেশটি উপহার দিয়েছেন শেখ মুজিবর রহমান। দিয়েছেন বাঙালিদের একটি জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়ের সুযোগ। তাইতো তিনি আমাদের জাতির পিতা। দুঃখী মানুষদের ক্ষুধা-দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে নিজের জীবনের সব সুখ-আরাম বিসর্জন দিয়ে তিনি সংগ্রাম করেছেন। বারবার কারাবরণ করেছেন। মানুষের দুঃখ-কষ্ট তাঁকে ব্যথিত করতো। অধিকারহারা দুঃখী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে তিনি দ্বিধা করেননি। এই বঙ্গভূমির বঙ্গ-সন্তানদের একান্ত আপনজন হয়ে উঠেছিলেন- তাই তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’। 

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের বক্তব্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, জীবনের ৫৩ বছর অতিবাহিত করে এমন মন্তব্য করেছেন হাস্যোজ্জ্বল 0 শাহ নিজাম। ৩ অক্টোবর রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এমন দিনে শুভ কামনা তার প্রতি।
শাহ নিজাম নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং পেশাগত জায়গা থেকে একজন সফল ব্যবসায়ীও।
১৯৬৯ সালের ৩ অক্টোবর শাহ নূর উদ্দিন আহম্মেদ ও রওশন আরা আহম্মেদ দম্পতির ঘর আলোকিত করে আসেন শাহ নিজাম। ৭ ভাই বোনের মধ্যে ৫ম অবস্থানে তিনি। পরিবারের কাছে ছোট বেলা থেকে বেশ আদরের ছিলেন। জন্ম রাজধানীর ডা. ফিরোজা বেগমের একটি বেসরকারী ক্লিনিকে, জীবনের শৈশবের সময়টা মুন্সিগঞ্জে দাদার বাড়িতে কাটালেও, কৈশোর ও যৌবন কাটে নারায়ণগঞ্জে। ১৯৯৭ সাথে ছাত্র রাজনীতিতে থাকা অবস্থায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তিনি। পরে ২০০৩ সালে প্রথম ছেলে সন্তানের বাবা হয় শাহ নিজাম।
মুন্সিগঞ্জ হাই স্কুলের মাধ্যমে শিক্ষা জীবন শুরু হয়। এক সময় স্কুল পরিবর্তন করে, মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কে.কে.গভ: ইনস্টিটিউশনে ৯ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও পরে নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমি স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। সরকারি তোলারাম কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক শ্রেণীতে অধ্যায়ন করেছেন। সেখান থেকেই বেছে নেয় রাজনীতির জীবন।
জন্মদিনে শাহ নিজাম লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, ‘ছোট বেলা থেকেই ডিফেন্সে কাজ করার খুব ইচ্ছা ছিলো। মুন্সিগঞ্জে পড়াশোনা ও আমার সেই সময়ের শিক্ষা জীবন আমাকে সব সময় ডিফেন্সের প্রতি অনুপ্রাণিত করতো। কিন্তু পরে যখন নারায়ণগঞ্জে আসি, তখনও ইচ্ছা ছিলো মেধাবী ভালো ছাত্র হওয়ার।  পরবর্তীতে একদিন ছাত্রজীবনে একেএম শামীম ওসমানের বক্তব্য শুনলাম। যে বক্তব্য আমাকে প্রচন্ড পরিমাণের নাড়া দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন যৌবন কাটালেন দেশের মানুষের জন্য কিন্তু তাকে হত্যা করা হলো।  তখন চিন্তা করলাম ‘দেশের সামগ্রিক স্বার্থে নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে, তাই মানুষের অধিকার আদায়ের স্বার্থে রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে যাই।
শাহ নিজামের ৫৪তম জন্মদিনে পরিবার, ছোট বেলার বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক সহকর্মী, আদরের ছোট ভাই ও শুভাকাঙ্খীরা বিভিন্ন স্থানে কেক কেটে শুভদিনটি পালন করেছেন। এছাড়া মুরুব্বীদের প্রিয় সন্তান শাহ নিজামের জন্য বিভিন্ন মসজিদে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে।
জীবনের ৫৩টি বছর অতিবাহিত করার পর শাহ নিজামের ভাষ্য, ‘স্কুলে ১০ম শ্রেনীতে থাকতেই নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগে সংযুক্ত হই। পরে তোলারাম কলেজে সমাজ কল্যাণ পদে নির্বাচন করে জয়যুক্ত হই। সে সময়ে আমার নেতৃত্বকে মূল্যয়ণ করে আমাকে শহর ছাত্রলীগের সেক্রেটারী ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘদিন আমি ওই দায়িত্ব পালন করেছি, মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতন্ত্র, নেয্য পাওনা আদায়ে ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য। ১৯৯০ সালে ও ৯৬ আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় সামনের সারিতে থেকে আন্দোলন করেছি। ২০০১ সালের পর একেএম শামীম ওসমানের নির্দেশে আমরা মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে আন্দোলন করেছি। আমি আমার কর্মে মানুষের ভালোবাসা পেতে চাই। আমার জন্মদিনে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করি।’
সব সময় শার্ট-প্যান্ট ও টি-শার্ট পড়ে থাকা শাহ নিজাম স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। পছন্দের খাবারের মধ্যে বাঙ্গালীর ভাত-মাছ ও ডাল তার কাছে খুব প্রিয়। প্রিয় ফুলের মধ্যে রয়েছে বেলী ফুল।
RSS
Follow by Email