পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভার পিলারের ব্লকে ফাটল
লাইভ নারায়ণগঞ্জ:
দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পে নিহত, আহতের পাশাপাশি বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা পূর্ণাঙ্গ না হলেও বিভিন্ন বিভিন্ন ভাবে প্রস্তুত হচ্ছে। এদিকে নির্মানাধীন পঞ্চবটি-মুক্তারপুর দ্বিতল সড়কের পিলারের উপরের অংশে ফাটল খবর গতকাল থেকেই শোনা যাচ্ছিল। তবে, শনিবার থেকে বিষয়টি জানাজানি হতেই ফতুল্লার কাশিপুর মুন্সিবাড়ি এলাকার স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) ফ্লাইওভারের ৭৪, ৭৫ ও ৭৭ নম্বর পিলারের ব্লকে ফাটল স্পস্ট অনেকেই দেখতে পান।
এলাকাবাসীরা জানান, ভূমিকম্পের আগে পিলার স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু ভূমিকম্পের পরপরই উপরের অংশে স্পষ্ট ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে পিলারের নিচের অংশ একেবারেই অক্ষত।এ বিষয়ে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে ফ্লাইওভারের কাজ করা কয়েকজন শ্রমিক জানান, ভূমিকম্পের আগ পর্যন্ত পিলারটিতে ফাটলের কোনো চিহ্ন ছিল না।ফাটলটি কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং দ্রুত মেরামতের প্রয়োজন আছে কি না—এ নিয়ে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর একনেক সভায় এ প্রকল্প অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ২৪২ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
প্রকল্পটি জিওবি এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।এদিকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া হওয়ায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই সড়ক ও ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে যাতায়াত করেন। এমন অবস্থায় সাধারণ পথচারীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা গেছে।
এ বিষয়ে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভারের প্রকল্প কর্মকর্তা মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ফ্লাইওভারে কোথাও ফাটল ধরেনি। ফ্লাইওভারের নিচে ব্লক গুলোর চলটি (আস্তরণ) উঠে গেছে। তারপরও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো রায়হান কবির গণমাধ্যমকে জানান, পিলারের ব্লকে ফাটল দেখা যাওয়ার বিষয় আমি সংশ্লিষ্টদের জানাচ্ছি এবং বিষয়টি যাচাই করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে এবং সাধারণ মানুষের ঝুঁকি না থাকে।

