সোনারগাঁয়ে অঞ্জন দাস “সন্ত্রাস, বালুমহল ও চর লুটেরাই আ.লীগের আসল মুখ”
লাইভ নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ–৩ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের মাথাল প্রতীকধারী প্রার্থী অঞ্জন দাস শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া সরকারি কলেজ মোড় থেকে শুরু করে মোগড়াপাড়া বাজার, চৌরাস্তা কাচা বাজার, নুরুল ইসলাম মার্কেট ও মহিলা কলেজ এলাকাজুড়ে ব্যাপক গণসংযোগ চালান। গণসংযোগে তিনি সরাসরি ও কঠোর ভাষায় বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা তুলে ধরেন।
অঞ্জন দাস বলেন, “হাসিনা ক্ষমতার মঞ্চ ছেড়ে গেলেও তার রেখে যাওয়া দখলদার, সন্ত্রাসী ও লুটেরা চক্র আজও এই দেশে নতুন মুখে আওয়ামী লীগের নামফলক ধরে দাঁড়িয়ে আছে। যারা মেঘনার পার দখল করে, বালুমহল লুটে, চর দখল করে— তারাই আজকের আওয়ামী লীগ। নাম বিএনপি, জামায়াত, গণসংহতি বা যাই হোক— এসব চরিত্র একই রাজনৈতিক পরগাছা। এই পুরো দুর্নীতিগ্রস্ত আওয়ামী বন্দোবস্তটাই ভেঙে নতুন রাজনৈতিক কাঠামো দাঁড় করাতে আমরা লড়ছি।”
তিনি সোনারগাঁয়ের চিত্র তুলে ধরে আরও বলেন, “এই এলাকায় বহু বছর ধরে একদল মাফিয়া পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ করছে। কৃষিখাত ধ্বংস, মানুষের জীবনযাত্রা পঙ্গু— অথচ প্রশাসন বধির। সোনারগাঁও হাসপাতাল বলে যা আছে, সেখানে নেই ওষুধ, নেই ডাক্তার। শহরে সব সুবিধা জমা করে রাখলে গ্রামের মানুষ কীভাবে বাঁচবে? শহরের মানুষের যেমন অধিকার আছে, সোনারগাঁবাসীর অধিকারও তেমনি— এই বৈষম্য আর চলতে দেওয়া হবে না।”
তিনি আরও তীব্র ভাষায় বলেন, “জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রেখে সোনারগাঁ আজো বি ও সি ক্যাটাগরির উন্নয়ন পায়— এটি কেবল ব্যর্থতা নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বঞ্চনা। নারায়ণগঞ্জে মেডিকেল কলেজের যে দাবি উঠেছে, সেটি সোনারগাঁয়ে না হলে তা হবে জনগণের প্রতি নতুন অবিচার।”
গণসংযোগে অংশ নেন জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সদস্য রাকিবুল ইসলাম দ্বিপু, মহানগরের নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রাণী সরকার, সোনারগাঁও থানার আহ্বায়ক মোমেন হাসান প্রান্ত, সম্পাদক মোবাশ্বের হোসেন, সহসম্পাদক গাজী রাকিবুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক সংহতির আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সম্পাদক মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, জেলা যুব ফেডারেশনের প্রচার সম্পাদক সাকিব হাসান সানি, সদস্য সানজীদা ইসলাম ইলমা, রাতুল দেওয়ান, নারী সংহতির আহ্বায়ক নাজমা বেগম, প্রতিবেশ আন্দোলনের আহ্বায়ক রাইসুল রাব্বি, জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন মৃধা, দপ্তর সম্পাদক শেখ সাদি ও স্কুল বিষয়ক সম্পাদক অনামিকা চৌধুরীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বহু বছর ধরে সোনারগাঁ একদল সুবিধাভোগীর হাতে বন্দি। জনগণ যদি এবার প্রতিরোধে দাঁড়ায়, তবে দখলদারিত্ব, দলীয় লুটপাট ও ক্ষমতাভিত্তিক বৈষম্যের রাজনীতি এই মাটি থেকে উচ্ছেদ করা সম্ভব।
