আ. লীগের নামে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী করেছে তাদের ছাড় নেই, যারা ভালো তাদের ভয়ের নেই:কাসেমী
লাইভ নারায়ণগঞ্জ:
মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত, নিরাপদ ও আধুনিক নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভোলাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এক নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাশিপুর ৭নং ওয়ার্ড ‘কাশেমী পরিষদ’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই জনসভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি মোহাম্মদ আলী।
জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মুফতি মনির হোসেন কাসেমী। প্রধান আলোচক ছিলেন জেলা জমিয়তে উলামা ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেনসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ।
জুম্মার নামাজের পর থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে মাঠটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
বক্তব্যে মুফতি মনির হোসেন কাসেমী বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার গত ১৭ বছরের শাসনামলে যারা হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের কেউ সরিয়ে দিতে পারবে না। এই অবস্থানে আসা সহজ ছিল না—এতে ত্যাগ আছে, সংগ্রাম আছে। জুলাই আন্দোলন, শাপলা চত্বরসহ দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে আলেম সমাজ সামনের সারিতে ছিল।
ভোলাইলকে নিজের জন্মভূমি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গত ১৭ বছরে এই এলাকায় যে উন্নয়ন হয়নি, ইনশাআল্লাহ আমি সংসদ সদস্য হলে সেই উন্নয়ন আমি করবো—এটি আমার অঙ্গীকার।”
তিনি আরও বলেন, এলাকায় মানুষ দুই ভাগে—আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। যারা আওয়ামী লীগের নামে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করেছে তাদের কোনো ছাড় নেই। তবে যারা ভালো, তাদের ভয়ের কিছু নেই।
সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “খেলা হবে বলেছেন, কিন্তু রাতের অন্ধকারে পালিয়ে গেলেন কাপুরুষের মতো। আমরা প্রস্তুত খেলতে, হাজারো জনতা আজ এখানে উপস্থিত।”
এলাকার অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এই এলাকার সবচেয়ে বড় সমস্যা মাদক। যারা মাদক ব্যবসায় জড়িত, ভালো হয়ে যান—না হলে পরিণাম হবে ভয়াবহ। আমাদের সন্তানদের বিপথগামী করার অধিকার আপনাদের নেই।”
তিনি আজকের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন।
