শুক্রবার, নভেম্বর ২১, ২০২৫
Led01বিশেষ প্রতিবেদন

প্রাথমিক প্রার্থীদের অবস্থান যাচাই করা হচ্ছে, কারা পাচ্ছে সু-খবর

লাইভ নারায়ণগঞ্জ:বাংলাদেশের ত্রয়োদশ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ জন প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি ৩ নভেম্বর। তালিকার প্রকাশের পর পর দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে শুরুতে এ নিয়ে কানাঘুষা চললেও, তালিকা প্রকাশের প্রায় ২সপ্তাহ পর প্রকাশ্যে আসতে থাকে বিরোধীতা। আর গত এক কয়েক দিনে এ বিরোধের রূপ নিয়েছে প্রকট ভাবে। অনেকেই সহিংসতার অশঙ্কা করছেন।

বিএনপির ঘোষিত প্রাথমিক তালিকায় নারায়ণগঞ্জের ৫টি নির্বাচনী আসনের মধ্যে ৪টিতে প্রার্থীর নাম দেয়া হয়, ১টিতে সিদ্ধান্ত পরে নেয়া হবে বলে জানায়। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আজহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মাসুদুজ্জামান মাসুদ প্রাথমিক ভাবে মনোনিত হয়। আর নারায়ণগঞ্জ-৪-এর প্রার্থীর নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

বিএনপির এই মনোনয়নকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের ৩টি আসনে বিরোধ এখন চরমে। আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ-২), সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ-৩), সদর-বন্দর (নারায়ণগঞ্জ-৫) আসন গুলোতে ঘোষিত মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি করে সংবাদ সম্মেলন, মিছিল সমাবেশ, মানববন্ধন, মশাল বিক্ষোভের মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে।

একই সাথে মনোনিত প্রার্থীর পক্ষেও প্রতিপক্ষদের কটাক্ষ করে বক্তব্য চলছে। তারাও নিজেরদের সমর্থনে মিছিল সমাবেশ করছেন। এমন পরিস্থিতিতে মনোনিত, মনোনয়ন বঞ্চিত ও তাদের সমর্থকদের সামলাতে কেন্দ্র খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে মতো নারায়ণগঞ্জেও দলের মধ্যে তৈরি হওয়া বিরোধ গত কয়েকদিনে প্রকট হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার অংশ হিসেবে যারা মনোনয়ন পেয়েছে মাঠপর্যায়ে তাদের অবস্থান নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান দিয়ে যাচাই করা হচ্ছে, দলীয় সূত্র বরাত দিয়ে ‘বিবিসি বাংলা’ সংবাদ প্রকাশ করেছে।

আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কেউ কোনো মন্তব্য না করলেও, যাচাই বাছাইয়ের পর ঘোষিত ‘প্রাথমিক প্রার্থী তালিকাতে’ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির নেতারা।

প্রার্থীদের মধ্যে বিরোধ নিরসনের উদ্যোগের অংশ হিসাবে বিরোধপূর্ণ আসনের মনোনয়নবঞ্চিতদের ঢাকায় ডেকে এনে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেশ কয়েকটি আসনের মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের সঙ্গে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে কথাও বলেছেন। কারও কারও সঙ্গে ফোনেও কথা বলছেন বিএনপি হাইকমান্ড। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়-এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি ধানের শীষের পক্ষে মাঠে থাকাসহ তাদের নানা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নবঞ্চিতরাও তাদের আসনে নিরপেক্ষভাবে জনপ্রিয়তা যাচাই করে প্রার্থী পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে দলের প্রতি আনুগত্য থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

দলীয় এমন ব্যবস্থায় নারায়ণগঞ্জের বিরোধপূর্ণ আসনে কতটুকু পরিবর্তন হতে পারে, কারা পেতে যাচ্ছে সুখবর , সেই প্রশ্ন রাজনীতিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রাথমিক তালিকায় নাম নিয়েও স্বস্থিতে নেই প্রার্থীরা। আবার মনোনয়ন বঞ্চিতদের ঘুম নেই, কি সিদ্ধান্ত নেয় দল। অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে উভয় পক্ষকেই।

RSS
Follow by Email