খুব অবাক হয়েছি, না.গঞ্জ-৫ আসনে এ ধরনের লোকের কথা চিন্তাও করিনি: এড. সাখাওয়াত
র্লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রাথমিকভাবে মনোনীত প্রার্থীর দলীয় ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তিনি অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যবসায়িক সুবিধা নিয়েছেন এবং দলীয় কার্যক্রমে তাকে কখনো দেখা যায়নি। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমরা এখানে সকলে গত ১৭ বছর মামলা ও জেল খেটেছি একসাথে। এখানে সকলে সেই পর্যায়ের লোক। গত ২৪ এর ছাত্রদের আন্দোলনসহ সকল আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছি। তার প্রেক্ষিতে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। যেই সরকারের কাজ একটা নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়া। বিএনপি একটি উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এই দলের প্রাণ হলো কর্মী ও সমর্থকরা। নারায়ণগঞ্জের ভোটারা হলো আমাদের মূল শক্তি। আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যোগ্য নেতাকে ও সবার পছন্দের নেতাদের প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে জয় করতে অধীর আগ্রহে বসে আছি। সেই মুহুর্তে গত ৩ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব ২৩৬জনের নাম ঘোষণা করেছেন। উনি প্রথমেই বলেছেন এটা প্রাথমিক তালিকা এটা পরবর্তীতে পরিবর্তন হতে পারে। আমরা খুব অবাক হয়েছি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে যাকে প্রার্থী করা হয়েছে এ ধরনের লোকের কথা আমরা চিন্তাও করিনি যে এধরণের লোক প্রার্থী হতে পারে। এই প্রার্থী ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের ভোটার, সাধারণ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বুকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা দলের সাথে চেষ্টা করেছি, এই প্রার্থীর সাথে নেতাকর্মীরা পরিচিত নয়, তাকে দলীয় কাজেকর্মে কোনদিন পাইনি। আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দলের মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির কাছে একটি দরখাস্ত দিয়েছি। এ আসনে প্রাথমিক ভাবে যাকে প্রার্থী দেয়া হয়েছে তাকে বদলে মহানগর বিএনপি তথা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে যাকে ইচ্ছা তাকে মনোনয়ন দেয়া হোক।
তিনি আরও বলেন, যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তাকে আমরা কোনদিন বিএনপি করেনি। গত ১৫ বছর সরকারের আমলে সে ব্যাবসায়িক সুবিধা নিয়েছে, ব্যাংকের মালিকানা নিয়েছে, নির্বাচনী জনসভায় ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় আমরা চাই তাকে পরিবর্তন করে বিএনপি তথা ধানের শীষের প্রার্থী মনোনয়ন এমন কাউকে দেয়া হোক যে অন্তত বিএনপি করেছে, রাজপথে আন্দোলন করেছে, জেল খেটেছে, বিএনপিকে নূন্যতম ভালোবাসে, যারা দুঃসময়ে বিএনপি ছেড়ে চলে যাবে না। এধরণের ব্যাক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হোক। যে কোন এক মাঠের নেতাকে মনোনয়ন দিলে আমরা বিজয় সুনিশ্চিত করতে পারবো। যাকে দেয়া হয়েছে মনোনয়ন তার ব্যপারে আমরা যেখানেই সেখানেই বলে তাকে আমরা চিনি না। তাকে কখনো রাজপথে দেখি নাই। এই ধরণের প্রার্থী বিজয় করে আনা আমাদের জন্য অনেক কষ্টসাধ্য হবে। সুতরাং আমরা দলের মঙ্গল চাই। আমরা সবাই দলের জন্য ঐক্যবদ্ধ। যাকে প্রার্থী করা হয়েছে তারা বিএনপির কেউনা।”
