মাকে আটকে মেয়েকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামী গ্রেপ্তার
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আড়াইহাজারে মাকে আটকে মেয়েকে গণধর্ষণের ঘটনায় এজাহারনামীয় প্রধান আসামী ২০ বছর বয়সী আশিককে ৭২ ঘন্টার মধ্যে রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আদমজীনগর কার্যালয় থেকে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব-১১। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন মিডিয়া অফিসার (সিনিয়র এএসপি) মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু।
গ্রেপ্তারকৃত আশিক আড়াইহাজারের কাজিপাড়ার শহিদুল্লার ছেলে। এ ঘটনায় এখনও পলাতক আছেন ফজার ছেলে ছরহাব (২৮), সাতগ্রামের টেকপাড়ার মোস্তফার ছেলে হিমেল (২৬), শেরুর ছেলে এনামুল (২৫), মনির হোসেনের ছেলে সুজন (২৪)।
স্বামী বিদেশে থাকায় সন্তান নিয়ে মায়ের বাড়ি আড়াইহাজারে অবস্থান করছিল ২৫ বছর বয়সী এক নারী।
সেই প্রবাসীর স্ত্রীর মা সেলিনার দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসা-যাওয়ার পথে আসামীরা তাঁর মেয়েকে (প্রবাসীর স্ত্রীকে) আসা-যাওয়ার পথে আসামীরা উত্যক্তসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিতেন। এতে প্রবাসীর স্ত্রী সাড়া না দেয়ায় ক্ষুব্দ হয়। ঘটনার সময় ধর্ষণের শিকার নারীর মা প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘরের বাহিরে গেলে গোপনে ঘরে প্রবেশ করে তাদের মা-মেয়েকে বন্দি করে ফেলে আসামীরা। ঘটনার প্রতিবাদ করলে প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে হত্যার ভয়ভীতি দেখায়। এ সময় আসামী আশিক ও এনামুল প্রবাসীর স্ত্রীকে কয়েকদফা ধর্ষণ করে। আশিক ও ছরহাব এসময় ধর্ষণের শিকার নারীর মাকে পার্শ্ববর্তী রুমে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানী করে। একই সাথে আশিক, ছরহাব ও সুজন তাদের হাতে থাকা মোবাইলে প্রবাসীর স্ত্রীর নগ্ন ও আপত্তিকর ছবিসহ ভিডিও ধারণ করে। হুমকি দেন-কারো কাছে নালিশ অথবা থানা পুলিশকে বললে ছবিসহ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দিবে। পরবর্তীতে সকালে প্রবাসীর স্ত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাৎক্ষনিক উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এই ঘটনায় ধর্ষিতার মা সেলিনা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আড়াইহাজার থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর থেকে আসামীরা আত্মগোপনে ছিল আসামীরা।
র্যাব প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী আশিককে ২৭ সেপ্টেম্বর রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।