স্বপ্ন পূরণে পাশে ডিসি, দুই দরিদ্র প্রমিলা ফুটবলারকে আর্থিক সহায়তা
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ প্রমিলা ফুটবল একাডেমির দুই তরুণী ফুটবলার চরম দারিদ্র্যের কারণে খেলাধুলা এবং পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞার মানবিক উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে পেরে বুধবার (৫ নভেম্বর) সরাসরি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হাজির হন তারা। জেলা প্রশাসক তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।
প্রশাসনিক ব্যস্ততার মাঝেও জেলা প্রশাসক ধৈর্য সহকারে দুই তরুণী ফুটবলার— স্মৃতি আক্তার ও আফরোজা আফরিন লামহার স্বপ্ন ও দূরদর্শার গল্প শোনেন। তারা দুজনেই বড় ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।
স্মৃতি আক্তার: নারায়ণগঞ্জ প্রমিলা ফুটবল একাডেমির নিয়মিত খেলোয়াড় স্মৃতি জানান, তার বাবা আব্দুল জলিল বেকার এবং তারা ভোলাই শান্তিনগর আলিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। স্মৃতি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন এবং ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হতে চান। কিন্তু তার বেকার বাবার পক্ষে ভর্তি ফি দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিকভাবে তার পাশে দাঁড়ান এবং আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
আফরোজা আফরিন লামহা: নারায়ণগঞ্জ প্রমিলা ফুটবল একাডেমির আরেক খেলোয়াড় আফরোজা আফরিন লামহা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার বাবা আমিনুল হাসান রানা একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি জানান, সংসার চালাতে তার বাবার প্রচণ্ড কষ্ট হয়, ফলে তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসক তাকে নিরাশ করেননি এবং তাকেও আর্থিক চেক প্রদান করেন।
আর্থিক চেক পাওয়ার পর স্মৃতি আক্তার বলেন, “ডিসি স্যার আমাদের পড়াশোনা ও ফুটবল খেলা চালিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দিয়েছেন।”
আফরোজা আফরিন লামহা জানান, “ডিসি স্যার আমাদের জেলায় থাকা অন্যান্য দরিদ্র প্রমিলা ফুটবলারের খোঁজ নিয়েছেন এবং বলেছেন, যারা সমস্যায় আছে তাদের সরাসরি তার কাছে পাঠাতে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, প্রমিলা ফুটবলারদের যেকোনো প্রয়োজনে তিনি পাশে থাকবেন।”
এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “একজন মেয়ে শিশু যদি আর্থিক অভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে না পারে, সেটি আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আজ দুইজন প্রমিলা ফুটবলার আমার কাছে এসেছিল, তাদের মাধ্যমে আরও কয়েকজন আর্থিক সংকটে থাকা খেলোয়াড়ের কথা জেনেছি। তাদেরও সাধ্যমতো সহযোগিতা করবো।”
