দোসররা বিভিন্নভাবে রাজনীতি করে ষড়যন্ত্র করছে: গিয়াসউদ্দিন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: “স্বৈরাচারী শাসনের অবসান হয়েছে, শেখ হাসিনা তার সহযোগীদের নিয়ে পালিয়ে গেছেন।”—এমন মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে বিএনপি বদ্ধপরিকর এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমেই সেই প্রত্যাশা পূরণ সম্ভব। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের চৌধুরীবাড়ী এলাকায় ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজিত নির্বাচনী পথসভা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে তিনটি নির্বাচনে এদেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তিনি অভিযোগ করেন, “শেখ হাসিনা তিন তিনটা নির্বাচনে জনগণের ভোট অধিকার হরণ করে নিয়েছিল, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল, সেই কারণে আমরা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের স্বৈরশাসক পলাতক। তাদের দোসররা বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে রাজনীতি করে এবং রাজনীতির অঙ্গণে থেকে ষড়যন্ত্র করছে, যাতে এদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা পরিবর্তন না হয়।”
গিয়াসউদ্দিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা নির্বাচনের বিকল্প আর কিছু নেই। তিনি বলেন, “জনগণের প্রত্যাশা পূরণে বিএনপি বদ্ধপরিকর… সে কারণে নির্বাচনে হতেই হবে। নির্বাচন যতক্ষণ না হবে ততক্ষণ আমরা রাজপথ ছাড়বোনা।”
তিনি দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেন, স্বৈরাচার যেভাবে বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল, সেই পরিস্থিতি থেকে উন্নয়নের পথে নিতে হলে এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে একমাত্র বিএনপির পক্ষেই তা সম্ভব।
৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ডি.এইচ. বাবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.এ. হালিম জুয়েল, সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল, সেলিম মাহমুদ, এ্যাডঃ মাসুদুজ্জামান মন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি একে হীরা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন রনি সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।