বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২, ২০২৫
ধর্ম

না.গঞ্জে মহাষ্টমীতে জাঁকজমকপূর্ণ কুমারী পূজা

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ঢাকঢোল ও শঙ্খধ্বনির আবহে, দেবী দুর্গার কাছে সমাজের শান্তি ও নারীর মর্যাদা কামনায়, নারায়ণগঞ্জে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমীতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারী পূজা। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় শহরের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে এই পবিত্রতা ও শুদ্ধতার প্রতীকী আরাধনা শুরু হয়।

সাজসজ্জা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে কুমারী দেবীকে বরণ করে নেন শত শত ভক্ত। এরপর দেবীর কাছে আশীর্বাদ কামনায় ভক্তিভরে প্রার্থনা করেন সকলে।

এবারের পূজায় দেবী রূপে কুমারীর আসনে বসে সাত বছর বয়সী রাজশ্রী ভট্টাচার্য্য। রাজশ্রী শহরের দেওভোগ আখড়া এলাকার পাপ্পু ভট্টাচার্য্য ও স্বর্ণা ভট্টাচার্য্যের কন্যা। সনাতন ধর্ম মতে, কুমারী হলো শুদ্ধতার প্রতীক এবং দেবী দুর্গারও আরেক নাম। বিশ্বাস করা হয়, সৎ বংশজাত গোলককন্যা একজন বালিকাকে কুমারী রূপে পূজার মাধ্যমে স্বয়ং মা দুর্গা মানুষের অন্তরে বিকশিত হন।

কুমারী পূজা শেষে আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ মহারাজ নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এই পূজার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “যে দেশে মেয়েরা শান্তিতে নেই, সেই দেশ ও সমাজ শান্তিতে থাকতে পারে না। মেয়েদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই এই কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়। যার মধ্যে কোনো মান-অভিমান নেই, এমন পুষ্পসদৃশ বালিকাকেই কুমারী রূপে পূজা করা হয়।”

তিনি আরও বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ দুর্গোৎসবে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু করলেও শাস্ত্রে এ পূজার ঐতিহ্য বহু প্রাচীন। অধ্যক্ষ বলেন, “আমরা রামকৃষ্ণ মিশনে একটি আন্দোলন চালাচ্ছি—মেয়েদের সম্মান করতে হবে।”

এবারের কুমারী পূজা পরিচালনা করেন নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ মহারাজ নিজেই। কুমারী পূজার মাধ্যমে শুধু দেবীর আরাধনা নয়, বরং সমাজে নারীর সম্মান ও শুদ্ধতার বার্তা আরও একবার দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো।

RSS
Follow by Email