নদী রক্ষায় মুফতি ইসমাঈল সিরাজীর ৭ দফা প্রস্তাব
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: “বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্র (আংশিক) আমাদের নারায়ণগঞ্জের সম্পদ, এগুলো আমাদেরই রক্ষা করতে হবে”— “বিশ্ব নদী দিবস” উপলক্ষে এই আহ্বান জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে হাতপাখা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী মুফতি ইসমাঈল সিরাজী।
রবিবার (২৮ অক্টোবর) “বিশ্ব নদী দিবসে” নদী রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, নাব্যতা হারিয়ে বাংলাদেশের নদ-নদীসমূহ আজ বিলীন হওয়ার পথে। বাংলাদেশ আবহমানকাল থেকে ‘নদীমাতৃক দেশ’ হিসেবে পরিচিত হলেও সেই নদী আজ রূপ-যৌবন হারিয়ে করুণ মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি উল্লেখ করেন, পৃথিবীর ইতিহাসে সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে নদীকে কেন্দ্র করে। মানুষ, প্রাণী, জীববৈচিত্র্য, কৃষি ও মৎস্যসম্পদ রক্ষায় নদ-নদীর বিরাট অবদান রয়েছে। কিন্তু শিল্পবর্জ্য, পয়োবর্জ্য, কঠিন বর্জ্য, নৌযান বর্জ্য এবং উজানে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে দেশের নদ-নদীগুলো প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে এবং স্থান করে নিচ্ছে বিশ্বের সর্বাধিক দূষিত নদ-নদীর তালিকার শীর্ষে।
মুফতি ইসমাঈল সিরাজী বলেন, “বিশ্ব নদী দিবসের” আজকের এই দিনে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নদী রক্ষায় কাজ করার আহ্বান রইল।
নদী দূষণরোধ এবং নদ-নদীকে বাঁচাতে মুফতি ইসমাঈল সিরাজী ৭ দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন। সেগুলো হলো: ০১. সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ০২. ‘রাজনৈতিক সদিচ্ছা’ বৃদ্ধি করতে হবে। ০৩. সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে ওয়াসা, নদী রক্ষা কমিশনসহ এজাতীয় সংস্থাগুলোকে আরো দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। ০৪. ট্যানারি স্থানান্তরের জন্য পরিকল্পিত নগরসহ ডাম্পিং স্টেশন গড়ে তুলতে হবে। ০৫. অতিসত্বর পানি ও বিভিন্ন বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ ও কার্যকর করতে হবে। ০৬. প্লাস্টিক ব্যবহারে সতর্কতা বৃদ্ধি এবং বিকল্প হিসেবে পাটজাত পণ্য ব্যবহারে জোর দিতে হবে। ০৭. সর্বোপরি সরকারি নজরদারি ও তদারকি আরো জোরদার করতে হবে।